অনলাইন সংস্থার মাধ্যমে ফুলকপি সরাসরি বাঙালির হেঁসেলে, লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: শীতের মরশুমে কৃষকদের উৎপন্ন ফুলকপি অনলাইন সংস্থার মাধ্যমে বাঙালির হেঁসেলে পৌঁছে গিয়েছে। করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। ভাঙড়জুড়ে এখন এমন বহু কৃষক আছেন যাঁরা অনলাইনে ফসল বিক্রি করতে এগিয়ে এসেছেন। শীতে ভাঙড়ে যেহেতু ফুলকপির ফলন বেশি হয় তাই অনেক কৃষক এখন সে সবজিটি অনলাইন সংস্থার কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
হাটে ও বাজারে ফুলকপি বিক্রি করতেন রাকিবুল ইসলাম নামে ভাঙড়ের শোনপুকুরের এক কৃষক। আবার কলকাতা থেকে ব্যবসায়ীরা এসেও তাঁর সবজি কিনে নিয়ে যেতেন। কিন্তু কোনওক্ষেত্রেই সঠিক দাম পেতেন না এই চাষি। বাজারদর থেকে সবসময় দু-তিন টাকা কম দামে ফসল বিক্রি করতে হতো। এখন অবশ্য আর লোকসানে কপি বিক্রি করতে হয় না তাঁকে। একটি অনলাইন সংস্থার কাছে নির্দিষ্ট দামে ফুলকপি বিক্রি করেন। এর পাশাপাশি কাঁঠালিয়ার আবদুল গফফর মোল্লা দীর্ঘ বছর ধরে ফুলকপি, টম্যাটো ইত্যাদি সবজি বিক্রি করতেন বাজারে। কিন্তু ভালো দাম না পেয়ে হতাশ ছিলেন। তিনিও গতবছর থেকে অনলাইন সংস্থার কাছে তাঁর ফসল বিক্রি করে লাভের মুখ দেখছেন।
এক বহুজাতিক অনলাইন সংস্থা গ্রামে গিয়ে বাজারের দামে ফুলকপি কিনে নিতে সেন্টার খুলেছে। এখনও পর্যন্ত ৭০ জনের মতো কৃষক তার মাধ্যমে ফুলকপি বিক্রি করতে শুরু করেছেন। ওই সংস্থার এক কর্মী বলেন, হাটে একজন কৃষক ১৭ থেকে ১৮ টাকায় কপি বিক্রি করেন। কিন্তু ফড়েরা যখন কেনেন তখন ১৪ থেকে ১৫ টাকা প্রতি পিস দাম দেন। কিন্তু আমাদের কাছে বাজারদরেই কৃষকরা ফসল বিক্রি করছেন। এতে ওদের লাভ হচ্ছে। জানা গিয়েছে, অনলাইনে ফুলকপির চাহিদা বেশ ভালো। রোজ গড়ে ৮০০ থেকে ১০০০ ফুলকপির অর্ডার হচ্ছে। মাঝে মধ্যে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে হিমশিম খেতে হয় ওই সংস্থাকে। শীতের মরশুমে এখনও পর্যন্ত এক লক্ষেরও বেশি ফুলকপি অনলাইনের মাধ্যমে গৃহস্থদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।