Indian Railway: ভোটের মুখে করোনাকালের বর্ধিত রেল ভাড়া কমিয়ে মানুষের মন জয় করতে চাইছে মোদী সরকার?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: করোনা মহামারীর সময় দীর্ঘদিন সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে দূরপাল্লার মেল, এক্সপ্রেসই হোক কিংবা প্যাসেঞ্জার ট্রেন, ‘স্পেশাল’ হিসেবে সেগুলি ধাপে ধাপে চালানো শুরু হয়। ফলে ফারাক হয়ে যায় যাত্রীভাড়ায়। ‘স্পেশাল’ প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ন্যূনতম যাত্রীভাড়া মাথাপিছু ১০ টাকার পরিবর্তে ৩০ টাকা করা হয়। পরে মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল স্বাভাবিক হলেও বহু প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে এখনও ‘স্পেশাল’ হিসেবেই চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার থেকেও বড় কথা, এই অজুহাতে তিনগুণ বেশি ভাড়ার ‘ট্রেন্ড’ এখনও চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেই রেলযাত্রীদের একটি বড় অংশের অভিযোগ।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বছর তিনেক কেটে গিয়েছে। তারপরও অবশ্য এ ব্যাপারে মাথা ঘামানোর কথা ভাবেনি মোদী সরকার। সূত্রের খবর, ভোটের কথা মাথায় রেখে আর এনিয়ে সাধারণ যাত্রীদের অসন্তোষের কোপে পড়তে চাইছে না মোদী সরকার। প্রায় তিন বছর পর সংশ্লিষ্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলির ‘স্পেশাল’ তকমা সরিয়ে ন্যূনতম যাত্রীভাড়া আবারও হতে চলেছে মাথাপিছু ১০ টাকা। এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বোর্ডের সাম্প্রতিক বৈঠকে।
সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, শীঘ্রই এব্যাপারে জোনগুলিকে নির্দেশিকা পাঠাতে পারে মন্ত্রক। তবে ইতিমধ্যে রেলওয়ে জোন এবং ডিভিশনে এই ইস্যুতে মৌখিক নির্দেশিকা গিয়েছে বলে খবর। সেইমতো পদক্ষেপও নিয়েছে বেশ কয়েকটি জোন। যেমন পূর্ব রেল সূত্রে জানানো হয়েছে যে, বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার এবং শিয়ালদহ-আজিমগঞ্জ শাখায় চলতি সপ্তাহের গোড়া থেকেই ন্যূনতম যাত্রীভাড়া কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩০ টাকা থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ১০ টাকা। নর্দার্ন রেলও জানিয়েছে, দিল্লি-পালওয়াল, দিল্লি-সোনেপত, দিল্লি-গাজিয়াবাদ, দিল্লি-নিজামুদ্দিনের মতো একাধিক রুটে ইতিমধ্যেই ন্যূনতম যাত্রীভাড়া ৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০ টাকা করা হয়েছে। যদিও এইসব রুটের যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, ভাড়া কমলেও পর্যাপ্ত ট্রেন নেই।