Fake Medicines: ওষুধে ব্যবহার করা হচ্ছে চকের গুড়ো, স্টার্চ!
হায়দরাবাদ পুলিস ও তেলেঙ্গানা ডিসিএ যৌথ অভিযান চালায়।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কার্যকরী উপাদানের (ইনগ্রিডিয়েন্টস) জায়গায় থাকছে চকের গুড়ো,স্টার্চের মতো সামগ্রী! রোগীর শরীরে যা অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। শুধু অভিযোগ নয়, এমনই প্রচুর ওষুধের হদিশ পেয়েছে তেলেঙ্গানার ড্রাগ কন্ট্রোল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিসিএ)। তারপরই মেগ লাইফ সায়েন্সেস নামে একটি সংস্থার তৈরি তিনটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহারের সতর্কতা জারি করেছে সে রাজ্যের সরকার।
ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এমপড ২০০, মেক্সক্লেভ ৬২৫ ও সিফোক্সিম-সিভি নামে এই তিনটি ওষুধে কোনও কার্যকরী উপাদান বা উপকরণ নেই। তার বদলে রয়েছে চকের গুড়ো, স্টার্চ। তাই এই ওষুধ খেলে বড়সড় শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডিসিএ উল্লেখ করেছে, ওই সংস্থা তাদের মূল অফিস হিমাচল প্রদেশে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু, নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ওই জায়গায় তাদের কোনও অস্তিত্ব নেই। সংশ্লিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ওষুধের গুণমান নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, মেগ লাইফ সায়েন্সসের তৈরি ওষুধে ভেজাল রয়েছে। তাই অবিলম্বে এগুলির বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ওষুধগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে একটি টোল ফ্রি নম্বরও প্রকাশ করেছে ডিসিএ।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভেজাল ওষুধের হদিশ মিলেছে। গত সপ্তাহেও এধরনের একটি চক্রের খোঁজ মিলেছিল উত্তরাখণ্ডে। হায়দরাবাদ পুলিস ও তেলেঙ্গানা ডিসিএ যৌথ অভিযান চালায়। সেখানে সিপলার মতো একাধিক নামজাদা ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার নাম ব্যবহার করে জাল ওষুধ তৈরি হচ্ছিল। ওষুধের মধ্যে চকের গুড়ো মেশাচ্ছিল প্রতারকরা। ওই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া, গত মাসে মহারাষ্ট্রের একটি সরকারি হাসপাতাল থেকে সিপ্রোফ্লক্সাসিন অ্যান্টিবায়োটিকের ২১ হাজার নকল ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করেন আধিকারিকরা। তদন্তে নেমে তাঁরা জানতে পারেন, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এধরনের কোটি কোটি টাকার ওষুধ পাঠানো হচ্ছে। ওই ঘটনায় ‘রিফাইনড ফার্মা’ নামে গুজরাতের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার নাম উঠে আসে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সেই সংস্থাটিও ভুয়ো। এরপর থানে, লাতুর ও ভিওয়ান্ডি থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।