ক্ষীরাই – বাংলার নিজস্ব ফুলের উপত্যকা

ফুল তো অবশ্যই প্রধান আকর্ষণ, তা ছাড়া আছে নানা পাখি, প্রজাপতি, ফড়িং। সবটা মিলিয়ে বলা যেতে পারে এই সময় প্রকৃতি তার রূপ-রস-গন্ধে ভরিয়ে রাখে এই ক্ষীরাই উপত্যকা।

February 10, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

ক্ষীরাই আসলে একটি নদীর নাম আর সেই নদীর নামেই গ্রামের নামকরণ। এখানে সবটাই যেন এক আঁকা ছবির মত রঙীন ও সুন্দর নাহঃ এখানে নেই কোনও পাহাড়ি উপত্যকা, নেই কোনও তুষারধবলিত অঞ্চল বা নিবিড় বনানি। তবে আছে এই বাংলার নির্ভেজাল স্বাদ, আছে বাংলার নদী-ঘর-মাঠ-মানুষ নিয়ে ভরা প্রকৃত ‘বাংলার মুখ’। তবে সবকিছুর মাঝেও যা সবাইকে বারবার ক্ষীরাইয়ের দিকে ছুটে নিয়ে যায়, তা হল হাজারো ফুলের প্রাণ খোলা হাসির সমাহার।

দূর্গা পুজোর আগে পরেই কাঁসাই ও ক্ষীরাই নদীর ডান ও বামদিকে মাইলের পর মাইল ক্ষেত জুড়ে বসানো হয় চারাগাছ। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ অবধি নানা রঙের গালিচায় ভরে ওঠে এই অঞ্চল, নানা ফুলের গল্প নিয়ে। কি নেই সেখানে? গাঁদা,গোলাও, আষ্টার, চন্দ্রমল্লিকা, মোরগঝুঁটি এবং আরো কত নাম না জানা ফুল মাঠের পরে মাঠ ফুলের গালিচায় ঢাকা।

ফুল তো অবশ্যই প্রধান আকর্ষণ, তা ছাড়া আছে নানা পাখি, প্রজাপতি, ফড়িং। সবটা মিলিয়ে বলা যেতে পারে এই সময় প্রকৃতি তার রূপ-রস-গন্ধে ভরিয়ে রাখে এই ক্ষীরাই উপত্যকা।

ফুলের উপত্যকা ক্ষীরাই। ছবি সৌজন্যেঃ exclusiveadhirath

পথনির্দেশ: হাওড়া থেকে খড়গপুর বা মেদিনীপুর গামী ট্রেন ধরে নামতে হবে পাঁশকুড়ার পরের স্টেশন ক্ষীরাইতে। সময় লাগে ১ ঘন্টা ৫০ মিনিট। স্টেশনে নেমে তিন নম্বর লাইন বরাবর পাঁশকুড়ার দিকে প্রায় ২০ মিনিট মত হেঁটে সরু মাটির রাস্তা মিলবে। এই রাস্তা বরাবর কিছুদূর যাওয়ার পর পড়বে কাঁসাই নদী। দু’দিকেই ফুলের চাষ।

এক নৈসর্গিক অভিজ্ঞতা।

(লেখনী: শুভজিৎ দে)

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen