কোথায় দরবার করলে মিলবে টিকিট? হন্যে হয়ে খোঁজ শুরু গেরুয়া নেতাদের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কাকে ধরলে মিলবে টিকিট? নির্ভরযোগ্য ঠাঁই খুঁজে পাচ্ছেন না বাংলার গেরুয়া নেতারা। কার্যত দিশে হারা অবস্থা। বাংলার ২০টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। আসানসোল কেন্দ্রের ঘোষিত বিজেপি প্রার্থী পবন সিং নাম প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ২৩টি আসনের তালিকা সামনে আসা বাকি। বঙ্গ বিজেপিতে টিকিট প্রত্যাশীদের লিস্টটাও নেহাত মন্দ না।
অনেকেই আশা করছেন টিকিট পাবেন। প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় চমক না থাকায় পদ্ম-পার্টির বাংলা ইউনিটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।
আদি থেকে শুরু করে নব্য বিজেপি নেতা-নেত্রীরা টিকিটের জন্য লড়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ দিল্লি ছুটছেন, কেউ প্রভাবশালী পুরনো নেতাদের শরণাপন্ন হচ্ছেন। তৃণমূল থেকে আসা নেতৃত্বের কাছে হত্যে দিয়েছেন কেউ কেউ। টিকিট প্রত্যাশীদের মধ্যে অনেকেই অবশ্য কেশব ভবনে সঙ্ঘ আধিকারিকদের কাছে প্রার্থনা জানিয়ে এসেছেন। কেউ কেউ খোদ দিল্লির কেন্দ্রীয় পার্টি অফিসে গিয়ে ভেট দিয়ে এসেছেন বলেও জানা যাচ্ছে। প্রথম দফার তালিকায় ঠাঁই না পেয়ে অনেকেই হতাশ। পার্লামেন্টে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর বঙ্গ-বিজেপির বহু নেতা-নেত্রী এখন দরবার খুঁজছেন, যেখানে তৈলমর্দনে কাজ হাসিল হবে।
বিজেপির অন্দরের খবর, গত বিধানসভা ভোটে কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ কয়েকজন দিল্লি ও রাজ্যের নেতাকে ধরলে টিকিট মিলেছিল। বহু দলবদলু বিধানসভা ভোটে লড়ার টিকিট পেয়ে গিয়েছিলেন সেই সুবাদে। এবারও এক-একটি লোকসভা আসনের জন্য ৩০ থেকে ৩৫ জন টিকিট প্রত্যাশীর আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে এবার সাবধানী বিজেপি। আসানসোল কাণ্ডে কার্যত মুখ পুড়েছে বিজেপির। একাধিক বেসরকারি সমীক্ষক সংস্থার রিপোর্ট ও একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সির তালিকা জমা পড়ার পর প্রার্থী করা হচ্ছে। ফলে কোনও দাদাকে ধরেই টিকিট মিলছে না। অন্যদিকে, দিকে দিকে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহের চোরাস্রোত বইছে।