মনে ভক্তি নিয়ে নিজেই করে ফেলুন সিদ্ধিদাতার আরাধনা

শাস্ত্রমতে মনে করা হয়, যিনি প্রতিদিন গণেশের স্তোত্র পাঠ করেন, তাঁর সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর হয়। ভাদ্র মাসের ভাদ্রপদ শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশ পুজো করা হয়।

August 22, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

হিন্দুদের সিদ্ধি, বিঘ্ননাশকারী, অর্থ ও  জ্ঞানের দেবতা রূপে পূজিত হন শ্রী গণেশ। মানসিক শক্তি, পরিবারে সুখ-শান্তি, উপার্জন বৃদ্ধির দেবতা এই গণপতি। শাস্ত্রমতে মনে করা হয়, যিনি প্রতিদিন গণেশের স্তোত্র পাঠ করেন, তাঁর সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর হয়। ভাদ্র মাসের ভাদ্রপদ শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশ পুজো করা হয়। 

হিন্দু পুরাণ মতে, ভক্তদের মনবাঞ্ছা পূরণ করতেই শিব-পার্বতীর এই পুত্র মর্তে অবর্তীণ হয়েছিলেন। শুধুমাত্র দেশেই নয় সারা বিশ্বে এই উৎসব ততটাই জনপ্রিয়। নেপালে এই উৎসবের নাম চথা। গণেশ চতুর্থীর এই উৎসব বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন, বিনায়ক চতুর্থী, বিনায়ক চবিথি ইত্যাদি। 

জেনে নিন শুধুমাত্র শ্রদ্ধা, বিশ্বাস আর ভক্তি নিয়ে কিভাবে পুরোহিত ছাড়াই পুজো করলে সংসারে সুখ সমৃদ্ধি আনতে পারবেন।

পুজোর উপকরণ

গণেশ চতুর্থীতে পুজোর জন্য উপকরণ হিসেবে রাখুন- পানপাতা, সুপুরি, ধূপ-ধুনো, ঠাকুরের জন্য নতুন পোষাক, ফুল, দূর্বা, মোদক, নারকেল, চন্দন কাঠ।  

গণেশ মুর্তি স্থাপনের নিয়ম

মূর্তি স্থাপনের আগে সেই জায়গা পরিষ্কার করে নিয়ে, শুদ্ধ কাপড়ে মূর্তি স্থাপন করে মন্ত্র উচ্চারণ করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যে কোনও পঞ্জিকায় এই মন্ত্র সহজেই পাওয়া যাবে। 

এরপরেই ধূপ জ্বালিয়ে আরতি করে গণেশ বন্দনা করুন। মূর্তিতে লাল চন্দনের টিকা দিয়ে, নারকেল ভেঙ্গে বাড়ির অশুভ শক্তি দূর করুন। ঠাকুরের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে দিনে অন্তত তিনবার আরতি করতে হবে।  

এরসঙ্গে মোদক, লাড্ডু, ভোগ নৈবেদ্য নিজের সাধ্য মত দিয়ে সেরে ফেলুন পুরোহিত ছাড়াই গণেশ পুজো বাড়িতে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen