উচ্চমাধ্যমিকের নতুন সিলেবাসে ভারভারা রাও, শ্রীজাতর কবিতা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১০ বছর পর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য এল নতুন সিলেবাস। সর্বভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হয়েছে নতুন সিলেবাস। মোট ৬২ টি বিষয়। তার মধ্যে ৪৯ টার সিলেবাস পরিবর্তন হচ্ছে। ১৩ টি ভোকেশনাল সাবজেক্টের সিলেবাস পরিবর্তন হয়নি। ১১ বছর আগে শেষ সিলেবাস সংশোধন হয়েছিল।
পাশাপাশি দেশের প্রথম পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা হিসেবে একাদশ-দ্বাদশ স্তরে সেমেস্টার পদ্ধতি ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (West Bengal Council of Higher Secondary Education)। বৃহস্পতিবার সংসদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেন সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য (Chiranjib Bhattacharjee)।
ভাপতি জানিয়েছেন, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে চারটি সেমেস্টারে ভাগ করা হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের (Higher Secondary) কোর্সকে। একাদশের দু’টি সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে নিজস্ব স্কুলেই। বরাদ্দ থাকবে দেড় ঘণ্টা করে সময়। প্রতি বিষয়ের লিখিত পরীক্ষার নম্বর বরাদ্দ ৪০ (বিজ্ঞান বিষয়ের ক্ষেত্রে ৩৫)। প্রথম সেমেস্টার এমসিকিউ ভিত্তিক হলেও ওএমআর শিটের প্রয়োজন নেই। ২০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে প্রজেক্টে আর ৩০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে প্র্যাকটিক্যালে। থিওরি এবং প্র্যাকটিক্যালে ৩০ শতাংশ করে নম্বর পেতে হবে পাশ করার জন্য। বিজ্ঞানের থিওরির ক্ষেত্রে পাশ নম্বর (১২+১২)=২৪। আর হিউম্যানিটিজ ও ভাষাপত্রগুলিতে পাশ নম্বর (১২.৫+১২.৫) ২১। দ্বাদশের প্রথম সেমেস্টারেও পরীক্ষার জন্য সময় বরাদ্দ দেড় ঘণ্টা। এক্ষেত্রে পরীক্ষা হবে ওএমআর (OMR) শিটে। তবে, চতুর্থ সেমেস্টার বা দ্বাদশের দ্বিতীয় সেমেস্টারে সময় বরাদ্দ থাকবে দু’ঘণ্টা। কারণ, সেটাকেই ফাইনাল পরীক্ষা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
দু’টি সেমেস্টারের নম্বর যোগ করেই নির্ণয় করা হবে পাশ মার্ক। প্রথম সেমেস্টারে কোনও বিষয়ে ফেল করলে বা শূন্য পেলেও পরের সেমেস্টারের পরীক্ষায় বসা যাবে। কারণ, সেই সেমেস্টার থেকেও পাশ নম্বর তোলা সম্ভব। দ্বাদশের দু’টি পরীক্ষাই হবে অন্য স্কুলে। কোনও বিশেষ কারণ ছাড়া দু’বারই অভিন্ন স্কুলে সিট পড়বে। প্রতিটি বিষয়ে ২০০ ঘণ্টা পঠনপাঠনের জন্য বরাদ্দ থাকবে।
নতুন সিলেবাসেও রয়েছে চমক। ইউএপিএ আইনে দীর্ঘ কারাবাসে থাকা মোদী বিরোধী কবি ভারভারা রাওয়ের কবিতা যেমন রয়েছে, তেমনই যোগ করা হয়েছে হাল আমলের কবি শ্রীজাতর কবিতা। এমনকী, গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ, পাবলো নেরুদার কবিতার অনুবাদও রাখা হয়েছে।