প্রধানমন্ত্রীর জন্য ভারতে আসছে এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান
থাকছে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। শত্রুপক্ষের যে কোনওরকম নাশকতার ছক রুখে দিতে এরই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে অতি আধুনিক প্রযুক্তি। সঙ্গে থাকছে ১৭ ঘণ্টা একটানা চলার জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টুইন ইঞ্জিন। সক্রিয় থাকবে ফ্লাইং কমান্ড সেন্টার। যে কোনও পরিস্থিতিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সিস্টেমের মাধ্যমে। মার্কিন প্রেসিডেন্টদের জন্য ব্যবহৃত ‘এ ওয়ান’ বোয়িং এর ধাঁচেই এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য আসছে বিশ্বের সবথেকে উচ্চ প্রযুক্তির এয়ারক্র্যাফট। আগামী সপ্তাহেই আসছে ওই এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান বিমান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ব্যবহার করবেন এই বিশেষ বিমান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীরা এখন যে বিমানে সফর করেন, তা বিগত ২৫ বছর ধরে একইরকম আছে। এবার সেই রীতিতে বড় বদল আসছে। আধুনিক বিশ্বের সুরক্ষা ব্যবস্থা ও নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জের সঙ্গে পাল্লা দিতেই এই বিশেষ বোয়িং ৭৭৭ এবং বোয়িং ৩০০ আসছে আমেরিকা থেকে। জানা গিয়েছে, গোটা বিষয়টি তদারকির জন্য ভারতীয় বায়ুসেনার একটি দল ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে আমেরিকায়। সেখানেই এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ানের সম্পূর্ণ রূপদান প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়েছে। এখন অপারেশন প্রক্রিয়া শিখছেন এয়ার ইন্ডিয়া ও এয়ারফোর্সের পাইলটদের একটি দল। দুটি বোয়িং ক্রয় করতে ব্যয় হচ্ছে আনুমানিক সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা। এয়ারাক্র্যাফটের অভ্যন্তরে থাকছে কনফারেন্স হল, একঝাঁক কেবিন, দু’টি মিনি মেডিকেল সেন্টার, থাকছে জরুরি সার্জারির জন্য অপারেশন কেবিনও।
বর্তমানে যে এআই ওয়ান বিমানে প্রধানমন্ত্রী যাতায়াত করেন, সেটি জ্বালানি পুনরায় ভর্তি না করে ১০ ঘণ্টার বেশি উড়তে পারে না। অথচ নতুন যে বিমানটি আসছে, সেটি একবার জ্বালানি পূর্ণ করা হলে টানা ১৭ ঘন্টা উড়তে সক্ষম। জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই আসবে বোয়িং ৭৭৭। এরপর আগামী বছর আসছে বোয়িং ৩০০। নরেন্দ্র মোদির জন্য এই নতুন বিমানের নাম স্পেশাল এক্সট্রা সেকশন ফ্লাইট। এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ানের পরিচায়ক হিসেবে প্লেনের বাইরে থাকবে এআই ওয়ান লেখার পাশাপাশি ভারত ও ইন্ডিয়া লেখা, সঙ্গে এমব্লেম। অন্যদিকে, আম্বালায় রাফাল যুদ্ধবিমানকে আগামী সপ্তাহেই আনুষ্ঠানিকভাবে বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সেই হাই প্রোফাইল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির হবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকেও। তবে তিনি সশরীরে আসবেন নাকি ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেবেন সেই নিশ্চয়তা এখনও আসেনি প্যারিস থেকে। তবে রাফালের মতো একটি বিশ্বমানের যুদ্ধবিমানকে ভারতের গোল্ডেন অ্যারো স্কোয়াড্রনের অংশ করে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে যথেষ্ট জাঁকজমকপূর্ণ করার পরিকল্পনাই নেওয়া হয়েছে।