CAG’র অডিট রিপোর্টে নেই রাফালে চুক্তির উল্লেখ!, তোপ রাহুলের
ইতিমধ্যেই ভারতের মাটি ছুঁয়েছে রাফালে। দেশের আকাশে উড়ন্ত রাফালে শত্রু চিন-পাকিস্তানের কাঁপুনিও ধরিয়েছে। কিন্তু এ হেন যুদ্ধবিমান নিয়ে বিতর্ক কিছুতেই থামছে না। রাফালে মামলায় দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেসের যে অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টে এবং ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জনতার দরবারে খারিজ হয়ে গিয়েছে, পুনরায় সেই একই অভিযোগে সরব হলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাঁর দাবি, রাফালে চুক্তিতে (Rafale deal) ভারতের রাজকোষ থেকে অর্থ চুরি হয়েছে। আর এই সত্য যেভাবেই হোক সামনে আসবেই।
রাফালে ইস্যুতে এবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টকে হাতিয়ার করেছেন রাহুল। যাতে দাবি করা হয়েছে, দেশের কম্পট্রোলার এবং এডিটর জেনারেল বা CAG রাফালে চুক্তির অডিটই করেনি। ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, আটমাস আগেই প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পর্কিত অডিট রিপোর্ট কেন্দ্রকে জমা দিয়েছে CAG। কিন্তু সেই রিপোর্টে রাফালে চুক্তির কথা উল্লেখ নেই। কারণ, প্রতিরক্ষামন্ত্রক CAG-কে রাফালে চুক্তি সম্পর্কিত কোনও তথ্য দিতে রাজি হয়নি। প্রতিরক্ষামন্ত্রক CAG-কে জানিয়েছে, প্রস্তুতকারক সংস্থা দাসাল্ট অ্যাভিয়েশনের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী এই চুক্তি সম্পর্কিত তথ্য চুক্তি শেষ হওয়ার ৩ বছরের আগে পর্যন্ত কাউকে দেওয়া সম্ভব নয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের কাছ থেকে তথ্য না পাওয়ায় রাফালে চুক্তির অডিট করতে পারেনি CAG।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ওই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে ফের আসরে নেমেছেন রাহুল। এক টুইটে তাঁর অভিযোগ,”রাফালে চুক্তিতে ভারতের রাজকোষ থেকে টাকা চুরি হয়েছে।” গান্ধীজির একটি উক্তি তুলে ধরে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলছেন,”সত্যি একটাই। আর সেটা যে কোনও রাস্তা দিয়ে প্রকাশ্যে আসবে।” উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে রাফালে চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগই রাহুল গান্ধীর প্রধান অস্ত্র ছিল। তাঁর ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়ও হয়। কিন্তু ভোটবাক্সে তাঁর কোনও প্রতিফলন হয়নি। উলটে আরও বেশি আসন জিতে ক্ষমতায় ফিরেছেন নরেন্দ্র মোদি।