প্রধানমন্ত্রীর দত্তক নেওয়া গ্রামের হাল দেখিয়ে মোদীর গ্যারান্টি নিয়ে খোঁচা তৃণমূলের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেশজুড়ে ‘মোদী কা গ্যারান্টি’ নিয়ে দেদার প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। এই অবস্থায় নয়া দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে কার্যত মোদী সরকারকে আক্রমণ করল তৃণমূল (TMC)। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন বাংলার মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, (Babul Supriyo) রাজ্যসভার সদ্য জয়ী সাংসদ সাগরিকা ঘোষ (Sagarika Ghose)। ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরা হয় মোদীর দত্তক নেওয়া গ্রামগুলোর বর্তমান অবস্থা। দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর দত্তক নেওয়া গ্রামগুলোর অবস্থা কার্যত বেহাল। পানীয় জলের অভাব, শৌচালয়ের অবস্থা কার্যত কঙ্কালসার, গ্রামগুলোতে হাজারও কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, ‘ভারত তার সাত লক্ষ গ্রামে বাস করে’। ২০১৪ সালে, মোদী সব সাংসদদের তাদের নিজস্ব নির্বাচনী এলাকার গ্রামগুলিকে ‘মডেল গ্রাম’ হিসেবে গড়ে তুলতে বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বারাণসীতে কয়েকটি গ্রাম দত্তক নিয়েছেন। গ্রামগুলো হল জয়পুর, নাগেপুর, পরমপুর, পুরে বারিয়ারপুর, ডোমরি। জয়পুর গ্রামে হরিজন বস্তিতে কোনও আবাসন নেই, অব্যবহারযোগ্য শৌচালয়। প্রায় ১০ জন লোক এই শৌচালয় ব্যবহার করে যার কল নেই, দরজা ভাঙা। নাগেপুরের রাস্তা ব্যবহারযোগ্য নয়। পরমপুরে বাড়িতে বাড়িতে কল রয়েছে কিন্তু সেই কলগুলিতে জল নেই। পুরেগাঁওয়ে, ২০২৩ সালের শেষ দু-মাসে কোনও জল সরবরাহ ছিল না। শৌচালয়গুলো অব্যবহারযোগ্য। পুরে বারিয়ারপুর গ্রামে, দলিত পাড়াকে আলাদা করে জোগাপুর নামক একটি নতুন গ্রাম তৈরি করা হয়েছিল। জোগাপুরে অনেকের জলের কলই নেই। হ্যান্ডপাম্পের জল দূষিত। বর্ষাকালে ডোমরিতে, বেশিরভাগ দলিত পরিবার প্লাস্টিকের আশ্রয়ে জীবনযাপন করে। তৃণমূলের প্রশ্ন এটাই কি গ্যারান্টির বাস্তব হাল?
পাশাপাশি বছরে দু-কোটি চাকরি, পনেরো লক্ষ টাকা, কালো টাকা ফেরানো-সহ মোদীর নানান প্রতিশ্রুতি নিয়ে আক্রমণ করে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।