পাঠ্য বইতে ময়দানের ইতিহাস, উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসে কলকাতা ফুটবলের তিন প্রধান
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এবার মাঠে, ময়দানের ইতিহাস পড়বে পড়ুয়ারা। উচ্চ মাধ্যমিকের স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষার নতুন সিলেবাসে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান স্পোর্টিংয়ের ইতিহাস ঠাঁই পাচ্ছে। পড়ুয়ারা আইএফএ, সিএবির মতো ক্রীড়া প্রশাসক সংস্থার ইতিহাসও পড়তে চলেছে। তিনটি ক্লাবের কাছ থেকে তাদের ইতিহাস সংগ্রহের কাজ চলছে। ডালহৌসি বা কুমোরটুলি স্পোর্টিংয়ের মতো সুপ্রাচীন ক্লাবের ইতিহাসও থাকছে পাঠ্যক্রমে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এমনভাবেই সিলেবাস তৈরি করেছে।
হাল আমলো ময়দানের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে তা অনেকেই বলেন। আজকের ফুটবল ফ্যানরা সে’সব সোনালি দিনের ইতিহাস জানেই না। বড় ক্লাবগুলিতে বাঙালি খেলোয়াড় দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হয়। ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেটের দলেও বাঙালি খেলোয়াড়ের দেখা মেলে গো খুব একটা। তাই এবার ঐতিহ্যের ময়দানের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে সিলেবাসে সে’বিষয়গুলির অন্তর্ভুক্তি করা হল।
সিলেবাস তৈরির সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী, খেলোয়াড় বানানোর চেয়ে ছেলেমেয়েকে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ারের বানাতে চাওয়া অভিভাবকদের মনোভাব পাল্টাতে পারে।
সিলেবাস কমিটির এক সদস্যের কথায়, ভারতীয়দের মধ্যে ফুটবলে প্রথম কিক মেরেছিলেন এক বাঙালি। এসব নিয়ে আজকের প্রজন্ম তেমন কিছুই জানে না। কয়েকজন মানুষের উদ্যোগে যেভাবে ক্লাব তৈরি হয়েছিল ছিল, এবার তাও পড়ানো হবে ছেলেমেয়েদের। ডালহৌসির মতো ক্লাবগুলি, যারা মোহনবাগানের চেয়েও প্রাচীন, সেগুলির ইতিহাসও গুরুত্ব পাবে।
মোহনবাগানের শিল্ড জয়ের কাহিনি নিয়ে তৈরি হয়েছিল এগারো। ভারতীয় ফুটবলের প্রাণপুরুষ নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর জীবনীর উপর ভিত্তি করে ‘গোলন্দাজ’ নামে একটি ছবি হয়েছে। রহিম স্যারের বায়োপিক ‘ময়দান’ মুক্তি পেতে চলেছে। সীমিত কিছু বিষয় ছাড়া, ময়দানি কাহিনি মূলধারার সাহিত্য বা সিনেমায় উঠে আসেনি। পাঠ্যক্রমেও তেমন স্থান পায়নি।