বাজারে গিয়ে ইলিশ কিনে, চা-ঝালমুড়িতে জনসংযোগ কীর্তি আজাদের
ঘোষিত হয়েছে ভোট, ভোটের দামামা বাজতেই প্রচারে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। বুধবারই স্ত্রীকে নিয়ে দুর্গাপুরের ভাড়াবাড়িতে এসে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী, প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী কীর্তি আজাদ। বৃহস্পতিবার সকালেই সাইকেলে থলি ঝুলিয়ে বাজার করলেন তিনি। অসুস্থ স্ত্রীর জন্য আপেল, লেবু কিনলেন। চণ্ডীদাসের মাছ করলেন থেকে ইলিশ নিলেন। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী জানালেন, ইলিশ মাছ তাঁর ভীষণ প্রিয়।
সব্জি বাজার সেরে পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে চায়ে চুমুক দিতে দিতে ঝালমুড়ি খেলেন। তিনি বললেন, তাঁর বাড়ি দ্বারভাঙা। দ্বারভাঙা শব্দের অর্থ বাংলার দরজা। ১৯১২সালের ২২মার্চ ইংরেজ সরকার বাংলা থেকে তাঁদের আলাদা করে দেয়, তা না হলে তাঁরা বাংলারই অংশ ছিল।
স্ত্রী পুনমকে নিয়ে ভাড়াবাড়িতে উঠেছেন কীর্তি আজাদ। দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা তাঁদের বরণ করে নেন। দুর্গাপুরবাসীর ভালবাসায় আপ্লুত প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার। পরদিনই শহরবাসীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেলেন তিনি। সাইকেল নিয়ে দুর্গাপুরের স্টিল টাউনশিপের বিস্তীর্ণ এলাকা চষে ফেললেন। সাইকেল ভ্রমণে তাঁকে সঙ্গ দিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। খবর জানাজানি হতেই তৃণমূল কর্মীরা সাইকেলে তাঁর সঙ্গী হন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাজার করতে নেমে পড়লেন তাঁরা। পাটশাক থেকে কাঁচা হলুদ ব্যাগ ভরে বাজার করলেন কীর্তি। তৃণমূল প্রার্থী মাছ বাজার থেকে ইলিশ কিনে, সব্জি বাজারে যান। বাজার করার সঙ্গে সঙ্গে বহু মানুষের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। অনেকে তাঁর সঙ্গে সেলফিও তোলেন। বিরোধী দলের প্রার্থীদের প্রসঙ্গে কীর্তি বলেন, তাঁর বোলিংয়ে সামনে কোনও ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে চাইছে না। মমতাদি সিংহবাহিনী, তাঁর সামনে কী অসুররা আসতে পারে?