প্রেক্ষাগৃহে গুলিবৃষ্টি বন্দুকবাজদের, কেন বারবার রক্তাক্ত হয় মস্কো?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভয়াবহ হচ্ছে ক্রোকাস-সিটি হলের ছবি। গত রাতে সেই প্রেক্ষাগৃহে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জঙ্গি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৫। যার মধ্যে রয়েছে তিনজন শিশু। হাসপাতালে ভর্তি আরও ১২১ জন। তাদের মধ্যে প্রায় ৬০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রয়েছে একাধিক শিশু। রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রক, এখনও অবধি ৪১ জন নিহতের পরিচয় প্রকাশ করেছে।
মস্কোর উত্তর-পশ্চিমে, মস্কোভা নদীর ধারে ক্রাসনোগরস্ক শহরতলিতে অবস্থিত ক্রোকাস সিটির অন্তর্গত প্রেক্ষাগৃহে ঢুকে গুলি বর্ষণ করেছে বন্দুকবাজের দল। শুক্রবার রক-ব্যান্ড ‘পিকনিক’-র অনুষ্ঠান করার কথা ছিল সেখানে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বন্দুকবাজের হামলা করে। ইতিমধ্যেই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট, খোরাসান। হামলার কারণে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
বিগত কয়েক দশকে বারবার রক্তাক্ত হয়েছে মস্কো। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে
১৯৯৯: ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মস্কোর (Moscow) এক বাড়িতে জঙ্গিরা বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। মৃত্যু হয় ১১৮ জনের। ওই সময় দু’সপ্তাহের ব্যবধানে মস্কো ও দক্ষিণ রাশিয়ায় মোট পাঁচটি বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। প্রাণ হারান ২৯৩ জন মানুষ।
২০০২: মস্কোর ডাবরোভকা থিয়েটারে সংগীত অনুষ্ঠান চলাকালীন ঢুকে পড়ে চেচেন জঙ্গিরা। ৮০০ জন দর্শককে অপহরণ করে তারা। দু’দিন তিন রাত তাদের পণবন্দি করে রাখা হয়। নিরাপত্তা রক্ষীরা ভিতরে গ্যাস ঢুকিয়ে দেন। বহু পণবন্দিরাও মারা যান। সব মিলিয়ে ১৩০ জনের মৃত্যু হয়।
২০০৩: মস্কোর এক রক কনসার্টে হামলা করে দুই আত্মঘাতী চেচেন জঙ্গি। ১৫ জনের মৃত্যু হয়।
২০০৪: মস্কোর সাবওয়েতে দুই মহিলা আত্মঘাতী জঙ্গির হামলায় ৪১ জন প্রাণ হারান।
২০১০: মস্কোর সাবওয়েতে মহিলা আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা মৃত্যু হয় ৪০ জনের।
২০১১: মস্কোর ডোমেদেদোভো বিমান বন্দরে এক আত্মঘাতী জঙ্গির হামলায় প্রাণ হারান ৩৭ জন।