জার্মানির পর আমেরিকা, কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি নিয়ে সরব মার্কিন প্রশাসন

মঙ্গলবার তাঁরা জানিয়েছে, কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া যেন দ্রুত হয়। স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা প্রয়োজন

March 27, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি নিয়ে সরব মার্কিন প্রশাসন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি নিয়ে জার্মানির পর এবার সরব মোদীর পরম বন্ধু আমেরিকাও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তারি নিয়ে কড়া বার্তা দিল মার্কিন প্রশাসন। মোদী আমলে দেশের গণতন্ত্র এবং বিচারবিভাগীয় স্বাধীনতা প্রসঙ্গেও সরব হয়েছে মার্কিন প্রশাসন। মঙ্গলবার তাঁরা জানিয়েছে, কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া যেন দ্রুত হয়। স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা প্রয়োজন।

ক’দিন আগেই জার্মানি বলেছিল, কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমেরিকা মুখ খোলায় মোদী সরকারের অস্বস্তি বেড়েছে। ভোটের মুখে চাপ বাড়ছে বিজেপি (BJP) শিবিরের। কারণ, ভোটের বাজারে মোদীকে বিশ্বগুরু হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। কিন্তু একের পর এক দেশ মুখ খোলায় আর সে ইমেজ বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না মোদীর পক্ষে। অন্যদিকে, সোমবার চীন ফের বিবৃতি দিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশে ভারতের কোনও অধিকার নেই। এই অঞ্চল চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

তদন্তের নামে মাসের পর মাস জেল বন্দি করে রাখা, জামিনের বিরোধিতা করা কেন্দ্রীয় এজেন্সির রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিরোধীরা এই ইস্যুতে বারবার সরব হয়েছে। আমেরিকার বিবৃতিতে একই জিনিস সামনে এসেছে। গত কয়েক বছরের আন্তর্জাতিক রিপোর্টে ভারতের গণতন্ত্র বারবার ধাক্কা খেয়েছে। ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম সমীক্ষায় বিগত বছর ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ছিল ১৬১।পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাও ভারতের চেয়ে এগিয়েছিল সমীক্ষায়। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারত ক্রমেই পিছনে হাঁটছে। সর্বশেষ রিপোর্টে ভারতের স্থান ১১১তম। বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে ১০৮ নম্বর। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে গণতন্ত্রের এই হাল! মিত্র দেশ আমেরিকাও ছেড়ে কথা বলছে না। আমেরিকা এবং জার্মানির পর, আবার কোন দেশ কেজরিওয়াল ইস্যুতে মুখ খুলবে? চিন্তায় মোদী শিবির।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন