নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু হয়ে যাওয়ার পর রাজ্যের আবাস-উপভোক্তাদের ফোন করে ‘টোপ’ দিচ্ছে BJP

‘পাহাড় থেকে সাগর’—রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে যাচ্ছে এই বার্তা।

March 27, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু হয়ে যাওয়ার পর রাজ্যের ১১ লক্ষ আবাস-উপভোক্তাকে ফোন করে ‘টোপ’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। গ্রামীণ এলাকার আবাস (প্লাস) যোজনার কেন্দ্রীয় পোর্টালে নাম রয়েছে। তারপরও নতুন করে তাঁদেরই আবেদন করতে হবে? আর তারপরই মিলবে বকেয়া টাকা! অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির নাম করে বলা হচ্ছে, ‘ফের নতুন করে অনলাইনে আবেদন করুন! বার্তা পৌঁছে যাবে মোদি সরকারের কাছে। মিলবে আপনার প্রাপ্য টাকা।’

‘পাহাড় থেকে সাগর’—রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে যাচ্ছে এই বার্তা। বিভিন্ন ‘কলসেন্টার’ থেকে বামা কণ্ঠে আসা ফোনগুলিতে ‘কার্যালয়’ বা ‘কার্যকর্তা’র মতো যে শব্দগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলি বঙ্গ গেরুয়া শিবিরে বহুচর্চিত।

ইতিমধ্যেই হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, নদীয়া সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে এমন ফোনবার্তা আসার খবর মিলেছে। নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণ বিধি কার্যকর হওয়ার পর এই প্রতিশ্রুতি কীভাবে বিলি করা যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উপভোক্তারাই। প্রতিশ্রুতি বিলি পর্বে হুগলির মগরার এক উপভোক্তা কলসেন্টারের মহিলার বিরুদ্ধে সরাসরি ‘মানুষকে ভুল বোঝানো ও ভাঁওতা দেওয়ার’ অভিযোগও করেছেন।

এমনিতেই লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কেন্দ্র আবাস যোজনার টাকা না দিলেও রাজ্য সরকার বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দেবে। বাংলার যে ১১ লক্ষ মানুষের নাম কেন্দ্রীয় পোর্টালে রয়েছে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই জোড়া ঘোষণা ও পদক্ষেপের কারণে এখন চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। অগত্যা মুখ বাঁচাতে তাঁরা এখন ভিন্ন পথে হাটছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। বিষটি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen