জনমুখী প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে ছাড়পত্র রাজ্য সরকারের
কোভিড মহামারীর পরিস্থিতি রাজ্যের উন্নয়নকে স্তব্ধ করতে পারবে না। মানুষই একদিন জিতবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আত্মবিশ্বাসে মনে বল পেয়েছে তাঁর প্রশাসনও। ফলে আর থেমে থাকা নয়। বরং থমকে যাওয়া প্রকল্পের কাজে গতি আনতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। করোনা আবহে সরকারিভাবে জমি অধিগ্রহণ কিংবা জমি ক্রয়ের কাজ কার্যত আটকে ছিল। সম্প্রতি অর্থদপ্তরের তরফে ফের কাজ চালুর নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সরকারি অনুমতি নিয়ে জমি অধিগ্রহণ কিংবা বিশেষ ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দপ্তরকে।
করোনার জেরে গোটা বিশ্বে আর্থিক মন্দা চলছে। দেশ তথা রাজ্যেও তার প্রভাব পড়েছে। সঙ্কট মোকাবিলায় গত ২ এপ্রিল অর্থদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়, রাজকোষের খরচে লাগাম টানতে হবে। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে জারি করা হয় আর্থিক নিষেধাজ্ঞা। ব্যতিক্রম ছিল জরুরি পরিষেবামূলক কাজ। গত জুলাই মাসে নবান্নের তরফে ফের এ সংক্রান্ত এক আদেশনামা জারি করা হয়। সেখানে সুনির্দিষ্ট করে কোন কোন ক্ষেত্রে সরকারি টাকা খরচ করা যাবে না, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। ফের ১৭ আগস্ট নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অর্থদপ্তর। সেখানে কিছু কিছু ক্ষেত্রকে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ কিংবা ক্রয়ের জন্য উপযুক্ত অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ, জমি-জটে আটকে থাকা প্রকল্পগুলির কাজ চালু করতে আর কোনও বাধা রইল না।
এ প্রসঙ্গে নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী প্রথম দিন থেকেই করোনার বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়ছেন। প্রশাসনের সমস্ত স্তরে তিনি নিজেকে উদাহরণ স্বরূপ স্থাপন করেছেন। তাঁর এই অদম্য প্রয়াসে আটকে থাকা সরকারি প্রকল্প গতি পেতে শুরু করেছে।’ ওই কর্তার দাবি, রাজ্যজুড়ে এই মুহূর্তে ৪৩টির মতো ছোট-বড় প্রকল্প রয়েছে। ওই সব প্রকল্পের সঙ্গে জমি অধিগ্রহণ কিংবা ক্রয়ের সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিটি প্রকল্পই জনমুখী। মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন, প্রকল্পগুলি যেন আটকে না থাকে। তাই এবার ‘কেস টু কেস’ বিচার করে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ কিংবা ক্রয়ের কাজ শুরু হবে। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, মানুষের স্বার্থ সম্পর্কিত প্রকল্পে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।