মোদী আমলে কমছে উচ্চশিক্ষিতদের কর্মসংস্থানের সুযোগ? ভয়ঙ্কর ছবি ILO-র রিপোর্টে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: যত শিক্ষিত, কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তত কম! আজব চিত্র মোদীর ভারতে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) রিপোর্টে উঠে এসেছে, মোদীর শাসনকালে উচ্চশিক্ষিতদের কাজের সুযোগ কমছে। যাঁর যত বেশি ডিগ্রি, তাঁর কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা ততই কম। ২০২২ সালের তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি ওই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ভারতের বেকারদের মধ্যে ৮৩ শতাংশই অল্প বয়সী। শিক্ষিত বেকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৬৬ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে।
আইএলও’র রিপোর্টে দেশের বেকার সমস্যার বাস্তব ছবিটা তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, মোদী শাসনে ভারতে স্নাতকদের প্রায় ২৯.১ শতাংশই বেকার (employment)। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও তার সমতুল্য শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্নদের মধ্যে বেকারের সংখ্যা ১৮.৪ শতাংশ। অক্ষরজ্ঞানহীন বা দক্ষতাহীন কর্মীদের বেকারত্বের হার মাত্র ৩.৪ শতাংশ। অক্ষরজ্ঞানহীনদের চেয়ে স্নাতকদের বেকারত্বের হার ৯ গুণ বেশি। অক্ষরজ্ঞানহীনদের তুলনায় মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পাশদের বেকারত্বের হার ৬ গুণ বেশি।
২০১৪ সালে মোদীর প্রতিশ্রুতি ছিল, বছরে ২ কোটি চাকরি হবে। দশ বছর ক্ষমতা ভোগ করার পর তাঁর নতুন দাবি, ২০৪৭ সালের মধ্যে নাকি ভারত উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর উর্জিত প্যাটেল মোদীর দাবিকে ভাঁওতা বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর মতে, কর্মসংস্থানের সুযোগ না তৈরি করতে পারলে; ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত উন্নত দেশের তালিকায় জায়গা পাবে না। কর্মসংস্থানই আর্থিক উন্নতির একমাত্র পথ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে, মোদী দেশের শিক্ষিতদের হাতে কাজের জোগান দিতে ডাহা ফেল করেছেন।