জনতার দাবি ‘নো ভোট টু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়’! তমলুকের হিসেব ভুল হয়ে গেল BJP-র?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিচারকের চেয়ারে বসে আইনকে খুব না আমল না দিয়ে একের পর এক নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, একদল সংবাদমাধ্যমের দৌলতে হয়ে উঠেছিলেন তথাকথিত ভগবান। যদিও তাঁর আইনি নির্দেশ ও পর্যবেক্ষণ ঘিরে একাধিক বিতর্ক হয়েছে, সেগুলোর যৌক্তিকতা নিয়েও সওয়াল উঠেছে কিন্তু তিনি জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন। বিচারপতির পদ ছেড়ে এখন তিনি ভোট ময়দানে। বিজেপি তাঁকে টিকিট দিয়েছে। কিন্তু এবার ‘নো ভোট টু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়’ ডাক উঠছে আম জনতার মধ্যে থেকে।
যে চাকরিপ্রার্থীর কাছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) ছিলেন আশার আলো, তাঁরা এখন তাঁর বিরুদ্ধে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর ভোলবদলে চাকরিপ্রার্থীদের অনেকে খুশি নন। বিচারপতি অভিজিতের নির্দেশে যাঁরা চাকরি খুইয়েছিলেন, তাঁরাও ক্ষুব্ধ। দু’পক্ষের ডাক, ‘নো ভোট টু অভিজিৎ’।
অভিজিতের ভাবমূর্তি সামনে রেখে তাঁকে প্রার্থী করেছে বিজেপি (BJP)। সেই ভাবমূর্তি এখন তলানিতে, চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, নিজের স্বার্থে তিনি অমন নির্দেশ দিতেই। স্বার্থপূরণে এখন ভোটের রাজনীতিতে এসেছেন।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অনেকেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন। একপ্রকার ধরেই নিয়েছিলেন এবার হয়ত নিয়োগপত্র পাবেন। তাঁরাই বলছেন; চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ওঁর সব আস্ফালনই নিষ্ফল। সেটা ভোটে দাঁড়িয়ে উনি নিজেই প্রমাণ করেছেন। এমন লোককে কীভাবে ভরসা করা যায়? প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের।
বিচারপতি অভিজিতের নির্দেশে শিক্ষকের চাকরি হারিয়েছিলেন, এমন অনেকেই শীর্ষ আদালতের নির্দেশে পুনর্বহাল হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, চাকরি ফেরত মিলেছে ঠিকই। কিন্তু ভুয়ো শিক্ষকের তকমাটা সহজে মুছে ফেলা যাবে না। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচারকের আসনে বসে একতরফা বিচার করে গিয়েছেন। এখন বোঝা যাচ্ছে, সবটাই তিনি করেছেন কাউকে খুশি করতে।