বাংলার প্রথম দফার ভোটের প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী কে? কার বিরুদ্ধে মামলা বেশি?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলায় প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে ১৯ এপ্রিল, তিনটি আসনে ভোট হবে। মোট ৩৭ জন প্রার্থী লড়ছেন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী জলপাইগুড়ির সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মন। হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর মোট স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। তাঁর বাৎসরিক পারিবারিক আয় প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামার ভিত্তিতে তাঁদের সম্পদ, তাঁদের বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলা, তাঁদরে শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে যৌথভাবে রিপোর্ট তৈরি করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্ম। সোমবার তা প্রকাশিত হয়েছে।
বাৎসরিক পারিবারিক আয়ের নিরিখে প্রথম স্থানে আছেন আলিপুরদুয়ারের বামফ্রন্ট প্রার্থী আরএসপির মিলি ওঁরাও। পারিবারিক আয় ৬৬ লক্ষ টাকা। প্রার্থীর নিজস্ব আয়ের কোনও উৎস নেই। তাঁর স্বামীর আয়ের উৎস দেখানো হয়েছে বেতন। প্রথম পর্বে দেশে ১০২টি আসনে ভোট হচ্ছে। মোট ১,৬২৫ জন প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে ধনী মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ার কংগ্রেস প্রার্থী নকুল নাথ। কংগ্রেস নেতা কমল নাথের পুত্রের সম্পত্তির মোট অর্থমূল্য প্রায় ৭১৭ কোটি টাকা।
প্রথম দফার ভোটের প্রার্থীদের মধ্যে ফৌজদারি মামলার নিরিখে এক নম্বরে আছেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছে ১৪টি। ভারতীয় দণ্ডবিধির মোট ৬১টি ধারায় মামলা আছে তাঁর বিরুদ্ধে। গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের ২৬টি ধারা যুক্ত আছে। ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রয়েছে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৬। ভারতীয় দণ্ডবিধির মোট ২০টি ধারায় মামলা চলছে তাঁর বিরুদ্ধে। কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া ও আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইকের বিরুদ্ধে একটি করে ফৌজদারি মামলা চলছে। জলপাইগুড়ির সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মনের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
রিপোর্টে অনুযায়ী, কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থীর মোট সম্পদের অর্থমূল্য ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। উনিশের লোকসভা ভোটের পর তাঁর সম্পদের বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী তথা বর্তমান সাংসদ জয়ন্ত রায়ের মোট সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা। বিগত ভোটের চেয়ে তাঁর সম্পত্তি বেড়েছে ৭৭ লক্ষ টাকা।