অর্জুনের বিরুদ্ধে পরাজিত প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে
গত লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং নির্বাচনী হলফনামায় শেয়ারবিনিয়োগের প্রকৃত তথ্য দেননি বলে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছিল। এ বার দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরাকে চিঠি দিয়ে ওই কেন্দ্রেরই পরাজিত নির্দল প্রার্থী গোপাল রাউত দাবি করলেন, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে অর্জুন তাঁর হলফনামায় শেয়ারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য ‘চেপে গিয়ে’ ভোটারদের সঙ্গে ‘প্রতারণা’ করেছেন।
অর্জুন তাঁর সম্পত্তির ‘অসত্য তথ্য’ দেওয়ায় ভোটে তাঁরও ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কাঁকিনাড়ার বাসিন্দা গোপালের।
নির্বাচন কমিশনের কাছে গোপালের দাবি, অর্জুনের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করে তাঁর ও ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের প্রতি ‘সুবিচার’ করা হোক। তাঁর অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ হিসেবে ব্যাঙ্গালোর ফোর্ট ফার্মস লিমিটেড নামে একটি সংস্থার ২০১৮-১৯ সালের আর্থিক রিপোর্ট এবং শেয়ারবাজারের কিছু নথি চিঠির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন গোপাল। তাঁর দাবি, লোকসভা ভোটের মনোনয়ন পর্ব চলাকালীনও ওই সংস্থায় অর্জুনের দু’লক্ষ শেয়ার কেনা ছিল। কিন্তু হলফনামার যে অংশে কোনও সংস্থার শেয়ার, বন্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়া হয়, সেখানে অর্জুন ‘নিল’ (শূন্য) লিখে তাঁর প্রকৃত আর্থিক ক্ষমতা গোপন করতে চেয়েছেন বলে অভিযোগকারীর দাবি।
সম্প্রতি একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে তিনি অর্জুন সম্পর্কে এই সমস্ত অভিযোগ জেনেছেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন গোপাল। তাঁর দাখিল করা নথিপত্রে সেই সমস্ত অভিযোগের প্রমাণ রয়েছে বলে গোপালের বক্তব্য। এই বিতর্কে অর্জুন অবশ্য দাবি করেন, ‘আমি ২০১৯-এ ওই শেয়ারগুলি কিনলেও তা আমার নামে অ্যালটেড হয়েছিল লোকসভা ভোট পর্বমিটে যাওয়ার পর। শেয়ার চাইলেই পাওয়া যায় না। মনোনয়নপর্বের আগে যে শেয়ার আমার হাতেই আসেনি, তা আমি হলফনামায় উল্লেখ করতে যাব কেন?’ এদিকে কমিশনকে লেখা চিঠিতে গোপালের দাবি, প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, সম্পদ, সামাজিক অবস্থানের মতো বিষয়গুলি বিচার করেই ভোটাররা তাঁদের পছন্দ-অপছন্দ স্থির করেন। অর্জুন তাঁর আর্থিক অবস্থার ‘ভুল’ ছবি তুলে ধরে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের সেই গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে
অভিযোগকারীর বক্তব্য।