স্বাস্থ্য বিভাগে ফিরে যান

গরমে শরীর সুস্থ, সতেজ রাখতে প্রতিদিন পাতে থাকুক টক দই

April 18, 2024 | 2 min read

ছবি সৌজন্যে: TV 9 Bangla

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: যে’হারে গরম বাড়ছে, তাতে আবহাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে পাতে থাকুক টক দই। যাঁরা আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগছেন, বা সর্দি কাশিতে ভুগছেন, তাঁদের দই একটু এড়িয়ে চলাই ভাল। তবে সব বয়সীরাই টক দই নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। বাচ্চা থেকে বয়স্ক ব্যক্তি উভয়ের জন্যই দই অত্যন্ত উপকারী।

দইতে ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি ইত্যাদি থাকে। যা ত্বক, পেশি, ব্রেন এবং স্নায়ু স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। দই হল ক্যালশিয়ামের অন্যতম উৎস। নিয়মিত দই খেলে দাঁত ও হাড়ের জোর বাড়ে। দইয়ে ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ থাকে। দইয়ে থাকা প্রোটিন শরীরে মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণেও উপকারী দই।

দই হল প্রাকৃতিক প্রো বায়োটিকের উৎস। যা খাদ্য পরিপাক ও বিপাকক্রিয়ার বিশেষভাবে সাহায্য করে।

ত্বক এবং চুল ভাল রাখতে দইয়ের কোনও বিকল্প হতে পারে না।

ইরিটবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস রোগীর জন্য দই হল আদর্শ খাদ্য। যাঁরা আইবিএসের রোগী তাঁরা নিয়মিত দই খেতে পারেন। তাতে তাঁদের ডায়ারিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য, উভয় ক্ষেত্রেই উপকার পাবেন।

১০০ গ্রাম দইয়ে থাকে ৮০ থেকে ৮১ কিলোক্যালোরি পর্যন্ত এনার্জি। দই এনার্জি লাভের অন্যতম উৎস।

শরীরচর্চা করতে যাওয়ার আগে ও পরে দইয়ের সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে খেলে তা ব্যায়ামের সময় ক্লান্তি দূরে রাখে।

গ্রীষ্মকালে যাঁরা আগুন ঝরানো দুপুরে ঘুরে ঘুরে কাজ করছেন, তাঁরা সুযোগ পেলেই ঘোল খেয়ে নিন। ঘোল শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

বাচ্চা হোক বয়স্ক, রোদ থেকে ঘেমে-নেয়ে বাড়ি ফেরার পর তাদের দই ও চিনি দিন। দ্রুত এনার্জি ফিরে আসবে। চনমনে অনুভব করবেন তাঁরা।

গ্রীষ্মের দুপুরে ভাত খাওয়ার পর শেষ পাতে রাখুন দই। হজমে দই সাহায্য করবে, পেটও ঠান্ডা রাখবে।

ফ্রুট স্যালাডের সঙ্গেও দই মিশিয়ে খেলে উপকার পেতে পারেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#health and fitness, #Curd, #tok doi, #yogurt, #sour yogurt, #Health Tips, #healthylifestyle

আরো দেখুন