তথাগতকে মুখ্যমন্ত্রী করার জোরালো দাবি, অস্বস্তিতে দিলীপ শিবির
মুখে বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনাই তাঁর লক্ষ্য। অথচ মনে কি মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি? তথাগত রায়ের (Tathagata Roy) প্রত্যাবর্তনে এমন জল্পনাই ঘোরাফেরা করছে ইতিউতি। সেই জল্পনায় নয়া মাত্রা যোগ করছে একটি ফেসবুকের একটি পেজ। তাতে জ্বলজ্বল করছে Tathagata Roy for CM। পেজটি তথাগত রায়ের অনুগামীরা খুলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যপালের পদ থেকে ফের বাংলার রাজনীতিতে তথাগত রায়ের প্রত্যাবর্তনের নেপথ্যে আসল উদ্দেশ্যটা কী? বিমানবন্দরে রবিবার তথাগত রায়কে যেভাবে অনুগামীরা বরণ করেছেন,সেটা বেশ চোখে লাগার মতো। বিশেষ করে দিলীপ বিরোধী বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা তথাগতের দিকে ঝুঁকেছেন বলে খবর। সোমবার রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র (Kailash Vijayvargiya) সঙ্গে বৈঠক করেন তথাগত। টুইটারে তিনি দাবি করেছেন, অর্থ-প্রতিপত্তি তাঁর আছে। এখন বাংলার হিন্দুদের বাঁচাতে চান। সেজন্য ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসতে হবে বিজেপিকে।
বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন কৈলাস। দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তথাগত। কিন্তু তাঁর অনুগামীরাই তথাগতকে মুখ্যমন্ত্রী চেয়ে খুলে ফেলেছেন ফেসবুজ পেজ। পেজের নাম- তথাগত রায় ফর সিএম (Tathagata Roy for CM)।
দিন কয়েক আগেই নিজের আগামীর কথা এনআরআই-দের সঙ্গে ফেসবুক লাইভে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তথাগত। ওই অনুষ্ঠানেই দিলীপের নাম না করে নিশানা করেছিলেন। বলেছিলেন, গোমূত্র খাওয়ার মতো অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা মেনে নেয় না বাঙালি। এরপর তথাগতর এমন সক্রিয় রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন কিসের ইঙ্গিত? বিজেপির একাংশ অংশ দাবি করছে, তথাগত রায়রা যখন ছিলেন, তখন রাজনৈতিক সাফল্য পায়নি দল। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বেই বিজেপি বিরোধী শক্তি হয়ে উঠেছে বাংলায়। এখন সুসময়ে এসে পড়েছেন তথাগত। তাছাড়া সেপ্টেম্বরে ৭৫ বছর বয়স হবে তাঁর। মোদী-শাহ জমানায় ৭৫-র ঊর্ধ্বে কেউ নিশ্চিতভাবেই মুখ্যমন্ত্রী হবেন না। ফলে শেষপর্যন্ত ‘আশায় মরে চাষা’র দশা হবে তথাগতর।