বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী সে’সংক্রান্ত বিলে কেন সই করছেন না রাজ্যপাল? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি জে বি পাদ্রিওয়ালার বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে হবে

April 23, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
সি ভি আনন্দ বোস

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্যপালের বদলে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানো সংক্রান্ত বিলে সই করছেন না সি ভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)। রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগের সার্চ কমিটি সংক্রান্ত বিলও পড়ে রয়েছে রাজভবনে। কারণ জানিয়ে বাংলার রাজ্য‌পালকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি জে বি পাদ্রিওয়ালার বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে হবে। নোটিশ জারি করা হয়েছে।

রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপাল টানাপোড়েন চলছে দীর্ঘদিন ধরে। পদাধিকারবলে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হলেন রাজ্যপাল। অভিযোগ উঠছে, রাজ্যপাল রাজ্যকে অগ্রাহ্য করে সম্প্রতি নানা কর্মসূচি নিচ্ছেন। তাই রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর জন্য বিল আনে রাজ্য সরকার। সংশোধন করা হয় পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন। ২০২২ সালের ৭ জুন বিধানসভায় সেই বিল পাশও হয়। কিন্তু বিলকে আইনে পরিণত করতে, রাজ্যপালের সই প্রয়োজন।

রাজ্যপাল আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose) সই করছেন না, অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও হয়।
হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রা‌জ্যপালের জবাব চেয়ে পাঠায়। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ আপাতত কার্যকর হবে না। ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবরের নির্দেশের পর থেকে হাইকোর্টে আর মামলার শুনানি হচ্ছে না বলেই, অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন জনৈক সায়ন মুখোপাধ্যায়। শীর্ষ আদালতে তাঁর হয়ে সওয়াল করেন আ‌ইনজীবী অরুণাংশু চক্রবর্তী। মামলায় রাজ্যপালের প্রধান সচিব, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে বিবাদী করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাজ্য বিধানসভার কোনও বিল আইনে পরিণত করতে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২০০ অনুযায়ী রাজ্যপাল তিনটি পথ অবলম্বন করতে পারেন। বিলে সম্মতি দিতে পারেন। রাষ্ট্রপতির কাছে বিলটি বিবেচনার জন্য পাঠাতে পারেন। অথবা পুনর্বিবেচনার জন্য বিলটি বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে পারেন। এক্ষেত্রে, রাজ্যপাল কোনওটিই করছেন না বলে অভিযোগ।

প্রথম দিনের শুনানিতে বিবাদীর পক্ষে কোনও আইনজীবী হাজির ছিলেন না। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (D Y Chandrachur) জানতে চান, হাইকোর্টে কতদিন ধরে শুনানি হয়নি? আবেদনকারীর আ‌‌ইনজীবীরা তা জানাতেই নোটিশ ইস্যুর নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen