চলুন ঘুরে দেখি মাদার হাউজ
চার তলা ভবন, দেওয়ালে মার্বেল পাথরে খোদাই করা লেখা MISSIONARIES OF CHARITY। বাঁ দিকে গলির ভেতর ঢুকতেই চোখে পড়বে মাদার টেরেজার মূর্তি। বড় সাইনবোর্ডে লেখা The Mother House।
পুরনো দিনের ভবন আর সেই আগের কার দিনের জানালা। প্রবেশ পথে বাইরের দেশের অনেক লোকের দেখা মিলবে। খালি পায়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। অসাধারণ পরিবেশ , শুনশান নিরবতা। একটি ঘরের দিকে সবাই দেখবেন যাচ্ছে। ভেতরে শান্তির দূত শায়িত আছেন। সবাই বসে নিরবে প্রার্থন করছে কেউ বা অঝোরে চোখের জল ফেলছেন।
ধূপ কাঠির মোহিত গন্ধ আর পরিবেশ যে কারোরই খুব ভালো লাগবে। মাদারের সমাধির পাশে বসে প্রার্থনা করার অনভুতি বলে বোঝানো যাবে না। চোখে পড়বে একপাশে লেখা “These flower were placed on Mother tomb. You are most welcome to take them as a blessing”।
আপনি একটি কাগজে আপনার প্রার্থনা মাদারের কাছে লিখে নির্ধারিত স্থানে ফেলতে পারবেন।
এক পাশে একটি কাপড়ের মধ্যে দেখতে পাবেন বিভিন্ন দেশের মানুষের অনুভুতি গুলো নানান ভাষায় লিপিবদ্ধ করেছেন। কয়েকটা ছবি তুলতে পারেন। পাশের কক্ষে বেশ বড় লাইব্রেরি। এখানে ছবি তোলা নিষেধ। এই কক্ষে মাদার টেরেজার ব্যবহৃত সামগ্রী সমূহ সুন্দর করে সাজানো আছে। সেখান থেকে মাদার টেরেজার জীবনী নিয়ে বই কিনতে পারেন।
এরপর যেতে পারেন শান্তির দূত যেখানে তার জীবনের বেশির ভাগ সময় পার করেছেন, দোতলার ছোট্ট একটি কক্ষ, সেখানে। তার মাঝে একটি খাট, পাশে একটি টেবিল আর চেয়ার। বাইরে থেকে ভেতরে প্রবেশ নিষেধ তাই আমরা বাইরে দাড়িয়েই দেখতে হবে।
দেখতে দেখতে বিদায় নেবার পালা চলে আসবে। মাদার হাউজের দর্শন পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে সকাল আটটা হতে বারোটার ভেতর আর বিকেল বেলা তিনটা হতে ছটার মধ্যে। বৃহস্পতিবার মাদার হাউজ বন্ধ থাকে।