রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

শান্তনু ঠাকুরের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ও বিজেপি’র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া

April 27, 2024 | 2 min read

ছবি সৌজন্যে: শান্তনু ঠাকুর ফেসবুক পেজ

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: শুক্রবার বারাসতে জেলাশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে শান্তনু ঠাকুর বলেন, “এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সন্দেশখালিতে অস্ত্র ভাণ্ডার মজুত করা হয়েছিল ভোটের কাজে ব‍্যবহার করার জন্যই। আমি তো আগেই বলেছিলাম, ও (শাহজাহান) মায়ানমারে গিয়েছিল শক্তি জোগাতে। শক্তি জুগিয়ে যখন সবকিছু তৈরি, তখন ওকে ধরা হয়েছে। এর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনের মদত রয়েছে।”

শান্তনু ঠাকুর এদিন দুপুরে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে এলেও ছিলেন না তাঁর এলাকার দুই বিধায়ক। তবে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর ও কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় এদিন তাঁর পাশেই ছিলেন। বাকি দুই বিধায়ক হলেন বনগাঁ উত্তরের স্বপন মজুমদার, যিনি বারাসত লোকসভা আসনে এবার দলীয় প্রার্থী এবং হরিণঘাটার অসীম সরকার, যিনি বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে পদ্মপ্রার্থী। শেষের দু’জন শান্তনু ঠাকুরের পাল্টা গোষ্ঠীর নেতা বলেই পরিচিত।

এবার লোকসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনায় সবচেয়ে হাই-ভোল্টেজ লোকসভা কেন্দ্র হল বনগাঁ। মতুয়া অধ্যুষিত এই কেন্দ্রে শেষ হাসি কে হাসবে, তা সময় বলবে। এদিন সকালে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাওয়ার আগে শান্তনু ঠাকুর হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পুজো দেন। তারপর বড়মার ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে প্রণাম করে রওনা দেন বারাসতে। এদিন তাঁর সঙ্গে কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া। শান্তনু বলেন, প্রচুর কর্মী-সমর্থক এদিন আমার সঙ্গে এসেছেন। ফলাফল আগামী দিনে দেখে নেবেন। বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, কেবল বিজেপির ক্ষেত্রেই পুলিস ১৪৪ ধারা জারি রেখেছে। অথচ তৃণমূল প্রার্থী বহু কর্মী-সমর্থককে নিয়ে জেলাশাসকের দপ্তরে ঢুকলেও পুলিস নীরব। এ নিয়ে আমরা অভিযোগ জানিয়েছে। বারাসত লোকসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী স্বপন মজুমদার বলেন, অন্যত্র প্রচারে ব্যস্ত থাকায় যেতে পারিনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Shantanu thakur, #Bongaon, #Loksabha Election 2024, #Loksabha Elections, #nomination, #bjp, #bharatiya janata party

আরো দেখুন