মেজাজটাই তো আসল ‘মহারাজ’, Kiff ঘুরে শুক্রবার মুক্তি বড়পর্দায়
মধুরিমা রায়
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ৪২ না ৪৫ ডিগ্রি মাপছেন আর মনে মনে ভাবছেন শহরটা লন্ডন হয়ে গেলে দিব্যি হতো? চাঁদিফাটা রোদ্দুরে ক্যাব নিয়েও নাজেহাল? তুলনামূলক ধাক্কা চলছে মগজে, হলুদ কালো ট্যাক্সিতেও তো সেই মিটারের চেয়ে বেশি টাকা দিতে হতো! কংক্রিটের জঙ্গলে স্বামী স্ত্রীর দৈনন্দিন যাপনে নিরন্তর অশান্তিতে জেরবার? পথকুকুরদের দেখলেই মনে হচ্ছে ওরা আমাদের চলার পথে বাড়তি ঝামেলা?
এই সবকটা বা কোনও কোনও উত্তর হ্যাঁ হলে ৩ রা মে থেকে সিনেমাহল ঘুরে আসতেই পারেন একটিবার। মুক্তি পাচ্ছে ‘মহারাজ’। ২২ সালের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি আসার পর এবার বড় পর্দায় আসন্ন ড. নিরুপম দত্তর পরিচালনায় তৈরি ‘মহারাজ’।
নিরুপম পদার্থ বিজ্ঞানের জগতে বিচরণের সময় থেকেই সিনেমা তৈরির স্বপ্ন দেখলেও ২০১৬ তে VECC (Variable Energy Cyclotron Centre) তে কর্মরত অবস্থাতেই প্রথম এই সিনেমা নির্মাণে হাত দেন। একাকিত্বের দিনযাপনে চাকরি এবং ‘আলোহা’ ( সারাবছর পথকুকুরদের সেবায় ব্রতী সংস্থা)-র পথকুকুরদের সঙ্গ দেওয়া ব্যতীত আর কোনও কিছুকেই যে সময় ভাললাগত না তাঁর, সে সময়েই ‘মহারাজ’ এর বীজ বপন। শুরুতে বেতন এবং পরিবার বন্ধুদের থেকে ধার করেই সিনেমার কাজ করেন নিরুপম।
এই গল্পে মূলত তিনটি চরিত্র, রাহুল, নন্দিনী এবং মহারাজ। দাম্পত্যের চড়াই উতরাই থেকে দমকা বাতাসের অভ্যাস, সবটুকুই জুড়ে জুড়ে সিনেমাটি। তপন সিনহার ‘গল্প হলেও সত্যি’ তে পারিবারিক চালচ্চিত্রে যে আবহ তৈরি হয়েছিল সেই স্বাদই কি এই ছবিতে আছে? যৌথ পরিবারে একজন অতিথি তাঁর ছাপ রেখেছিলেন ‘গল্প হলেও সত্যি’ তে, ইদানিং তো সবই নিউক্লিয়ার ফ্যমিলি! তাহলে? শেষটুকু দেখে তবেই তো মন্তব্য করতে পারবেন আপনি।
বিধাননগর সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছ’মাস ধরে শুট করেছেন ছবির মূল তিন চরিত্র শৌর্য্যদীপ্ত মুখার্জী, অমৃতা গগন চক্রবর্তী , নিরুপম দত্ত। অভিনেতা গৌরব মুখুটি, অংশুমানরাও ছিলেন সঙ্গে। ঝাপসা সম্পর্ক , দুমুখো সমাজ, জটিল চিন্তাদের ভিড়ে ‘মুসাফির স্টোরিজ’ প্রযোজিত এই ছবির মূল ভাবনা স্বচ্ছতা। মেঘ কেটে রোদ ঝলমলে একটা সকালের অপেক্ষার মতো। ভাবের ঘরে চুরির বদলে বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ত আবাহন এবং বিসর্জনের গল্প ‘ মহারাজ ‘।
ইতিমধ্যেই ছবির পোস্টার এবং ট্রেলার মুক্তি হয়েছে। ‘মহারাজ’ – র মোট পাঁচটি গান গেয়েছেন নিরুপম, অমৃতা গগন, মেঘাশ্রী পাল এবং জন পল। সঙ্গীত পরিচালনাও করেছেন ড. নিরুপম দত্ত নিজেই। ইতিমধ্যেই ইউটিউবে গানগুলো শুনেছেন অনেকেই। এখন শুধুই জায়ান্ট স্ক্রিনে মুক্তির অপেক্ষা।