দেশ বিভাগে ফিরে যান

রাজপুত-ক্ষত্রিয় অসন্তোষ গুজরাতে, খোদ মোদী-শাহের রাজ্যে BJP-কে নির্মূল করার ডাক!

April 30, 2024 | 2 min read

রাজপুত-ক্ষত্রিয় অসন্তোষ গুজরাতে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিজেপির পুনর্জন্মের আঁতুরঘর হল গুজরাত, এবার খোদ মোদী-শাহের রাজ্যেই BJP-কে নির্মূল করার ডাক উঠল। অভিযোগ উঠছে, রাজকোটের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুরুষোত্তম রুপালা নির্বাচনী প্রচারে রাজপুত-ক্ষত্রিয়দের অপমান করেছেন। লোকসভা ভোটের আগে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে বিজেপি। রাজপুত-ক্ষত্রিয় অসন্তোষের আগুন গোটা গুজরাতে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। বিজেপিকে উৎখাতের ডাক দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রীতিমতো বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে দুই সম্প্রদায়।

রুপালার বিরুদ্ধে ক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল সৌরাষ্ট্রে। দক্ষিণ গুজরাতেও ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভ। রবিবার সুরাত জেলার বারদোলিতে কেদারেশ্বর মহাদেব মন্দিরের ময়দানে বিশাল অস্মিতা মহাসম্মেলনে করেছে ক্ষত্রিয়রা। ‘বিজেপি হটাও’ হুঙ্কার শোনা গিয়েছিল সেখানে।

রাজকোটে এক নির্বাচনী সভায় রুপালা বলেন, ইংরেজ জমানায় নিজেদের স্বার্থে আপস করত রাজপুত ও ক্ষত্রিয় শাসকরা। ব্রিটিশদের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও বৈবাহিক সম্পর্কও রেখে চলত। এমন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই উভয় সম্প্রদায় ক্ষুব্ধ হয়। সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ অঞ্চলে ক্ষত্রিয় সমাজের লোকজন প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে। গুজরাত ছাড়িয়ে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিতেও ছড়ায় ক্ষোভের আগুন। রুপালার প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি জানায় তাঁরা। রুপালা-সহ বিভিন্ন নেতাকে দিয়ে ক্ষমা চাইয়ে ক্ষোভ মেটানোর চেষ্টা করে বিজেপি। ক্ষত্রিয়-রাজপুতদের নিশানায় সরাসরি এসে পড়ে বিজেপি।

অস্মিতা মহাসম্মেলনে রাজপুত সঙ্কলন সমিতির মুখপাত্র করনসিং চাভদা বলেন, তাঁরা কোনওভাবেই বিজেপিকে জিততে দেবেন না। বিজেপি তাঁদের মহিলাদের অসম্মান করেছেন। মর্যাদায় আঘাত দিলে কাউকে রেয়াত করার প্রশ্নই নেই। ৭ মে বুথে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার শপথও নেওয়া হয়েছে ওই সভায়। সুরাত, ভারুচ, ভালসাদ, নভসারির মতো দক্ষিণ গুজরাতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার ক্ষত্রিয়-রাজপুত ভিড় জমিয়েছিলেন সম্মেলনে।

গুজরাত বিজেপির সভাপতি তথা নভসারি আসনের প্রার্থী সি আর পাতিল ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি। তাতে কাজ হয়নি। করনসিং চাভদার দাবি, রুপালার মন্তব্যের কারণেই এককাট্টা হয়েছে গোটা সমাজ। তাঁদের অস্ত্র তলোয়ার নয়, ভোট। ক্ষত্রিয়-রাজপুতদের প্রতি বিজেপি সরকারের বঞ্চনা ও উদাসীনতার অভিযোগও আসছে। গুজরাত রাজপুত সমাজ ইনস্টিটিউশনসের মহিলা সভাপতি তৃপ্তিবা রাওয়াল বলেছেন, গণতন্ত্র রক্ষার সঙ্গে সঙ্গে এই লড়াই তাঁদের মর্যাদারক্ষারও লড়াই। ভোটাধিকার ব্যবহার করেই লড়াই চালাবেন তাঁরা। গুজরাতে জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ রাজপুত-ক্ষত্রিয়। রাজ্যের ২৫টি আসনের মধ্যে ১০টিতেই তাঁদের প্রভাব রয়েছে, ফলে চিন্তা বাড়ছে বিজেপির।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kshatriyas, #Narendra Modi, #Amit shah, #gujarat, #politics, #loksabha elections 2024, #Mahadev, #Rajputs

আরো দেখুন