বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় মনোনয়ন পেশ করলেন হুগলির রচনা এবং আরামবাগের মিতালি
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: সোমবার হুগলি এবং আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের দুই প্রার্থীর মনোনয়ন ঘিরে দিনভর সরগরম রইল হুগলির জেলা সদর চুঁচুড়া। স্বাভাবিকভাবেই নজর কেড়েছেন হুগলি আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ‘দিদি নম্বর ১’-এর সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার বিধায়কদের পাশাপাশি বিপুল জনস্রোত নিয়ে শোভাযাত্রা সহ মনোনয়ন পেশ করেন তিনি। এদিনই বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে মিছিল করে মনোনয়ন পেশ করেন আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ।
চড়া তাপপ্রবাহের মধ্যেই ভরদুপুরে চুঁচুড়ার খাদিনা মোড় থিকথিকে ভিড় দখল করে নিয়েছিল । সেখান থেকে শোভাযাত্রা করে মনোনয়ন জমা দিতে রওনা হন রচনা। ৫ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে লেগে যায় প্রায় এক ঘণ্টা। বুনোকালী মন্দিরে পুজো দিয়ে রচনার শোভাযাত্রা যখন চলতে শুরু করে, তখন দু’পাশের ঘরের জানালায়, বাড়ির ছাদে ছিল উৎসাহী মুখের ভিড়। অনেক বাসিন্দা রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। ডঙ্কা নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ লক্ষ্মীর সাজে মহিলা কর্মীদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া। টলিউডের কিছু শিল্পী এবং রচনার পরিবার এদিন উপস্থিত ছিলেন। রচনার বন্ধুরা এসেছিলেন ঘাসফুল প্রতীক ও রচনার ছবিতে সাজানো বিশেষ পোশাকে সেজে। তবে প্রার্থী নিজে ছিলেন সাদামাটা পোশাকে। মনোনয়ন পেশ করে মন্ত্রী-বিধায়কদের পাশে নিয়ে রচনা বলেন, ‘দলের নেতাকর্মীদের তো বটেই, আম জনতার উৎসাহ আমাকে বিপুল আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। হুগলির মানুষ আমাকে গ্রহণ করে নিয়েছেন, এমনই ইঙ্গিতই পেয়েছি। তাই ফলাফল নিয়ে খুব আশাবাদী।’
আবেগের ঢেউয়ে ভেসে মনোনয়ন পেশ করে নজর কেড়েছেন আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগও। কর্মীদের আব্দারে তিনি চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল করে মনোনয়ন পেশ করেন। মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আবেগ বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন মিতালি। তিনি বলেন, ‘নাম ঘোষণার পর দিন থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছি। আরামবাগের মানুষ আমাকে ভরসা দিয়েছেন। আর আছে আমাদের নেত্রীর উন্নয়ন। তাই আরামবাগ বিজয় হবেই।’
প্রসঙ্গত, শ্রীরামপুরের বিজেপি প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসু এদিন জেলা সদর চুঁচুড়াতেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করেন।