দেশ বিভাগে ফিরে যান

নির্বাচনের ১১ দিন পর বাড়ল ভোটদানের হার? কারচুপির অভিযোগ বিরোধীদের

May 1, 2024 | 2 min read

নির্বাচনের ১১ দিন পর বাড়ল ভোটদানের হার?

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভোটের এগারো দিন পর প্রায় ৬ শতাংশ বাড়ল ভোটদানের হার! এহেন ভৌতিক কান্ডে কারচুপির অভিযোগ আনছেন বিরোধীরা। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয় ১৯ এপ্রিল। তারপর কেটে গিয়েছে ১১ দিন। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণও মিটে গিয়েছে। কত শতাংশ ভোট পড়ল, তা এতদিনেও জানিয়ে উঠতে পারেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার সরব হয় বিরোধীরা। চাপের মুখে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কমিশন একসঙ্গে দু’দফার ভোটদানের চূড়ান্ত হার প্রকাশ করে। কমিশন জানায় প্রথম দফায় ৬৬.১৪ শতাংশ ও দ্বিতীয় দফায় ৬৬.৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু ভোটগ্রহণের দিন সন্ধ্যা সাতটায় দেখানো প্রাথমিক হিসেবে অনুযায়ী, দুই হার ছিল যথাক্রমে ৬০ ও ৬০.৯৬ শতাংশ। দু-ক্ষেত্রেই পরিসংখ্যানের ফারাক প্রায় ৬ শতাংশের বেশি।

এমনটা সাধারণত দেখা যায় না। সামান্য ফারাক থাকে তবে দুটো ক্ষেত্রেই এত ফারাক! কারচুপির আশঙ্কা করছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। তাদের দাবি, ভোট শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই তথ্য প্রকাশ করা হত আগে। এবার সময় লেগে গেল ১১ দিন। এমনটা নজিরবিহীন। এত সময় লাগা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরিরা।

প্রতিটি আসনে মোট নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা নিয়ে কোনও চূড়ান্ত তথ্য নেই কমিশনের ওয়েবসাইট বা অ্যাপে। ভোট বিশেষজ্ঞ থেকে বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা অনেকেই এতে অবাক হয়েছে। সংসদীয় আসনে নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা জানা না থাকলে, ভোটদানের হারের অর্থ কী! এর আগে এই তথ্যগুলি চাইলেই পাওয়া যেত। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, গণনার সময় নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যায় গরমিলের সম্ভাবনা যথেষ্ট। কারচুপির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। প্রাথমিক ও চূড়ান্ত ভোটদানের হারের ফারাক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএম নেতা।

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের প্রশ্ন, ‘দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের চারদিন বাদে চূড়ান্ত ভোটদানের হার প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। চারদিন আগে প্রকাশিত প্রাথমিক পরিসংখ্যান থেকে তা লাফিয়ে ৫.৭৫ শতাংশ বেড়েছে। এটা কি স্বাভাবিক?’ ডেরেক নিশানা করেছেন মোদীকেও। তিনি লিখছেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে ধ্বংস করে দিতে সংসদে আইন পাল্টে ফেলেছেন মোদী। কমিশনের তো প্রতি দফা ভোটের পর সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা। সেটাই বা হচ্ছে না কেন?’

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, শিবসেনার উদ্ধব শিবিরের প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীরা কমিশনের ভূমিকার নিন্দা করেন। এনসিপি (শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী) নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে আক্রমণ করেছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রথম দু’দফায় পরাজয়ের ইঙ্গিত পেয়েছে বিজেপি। সে’কারণেই নানান ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Eci, #Oppositions, #Vote percentage, #bjp, #Election Commission of India

আরো দেখুন