দ্বিতীয় দফার ভোটের পর কি বিজেপির চিন্তা আরও বাড়ল? প্রচারে মোদী-শাহের সুর কি অন্যরকম?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এপ্রিল ১৯-এ লোকসভা প্রথম দফায় ভোটের হার কমে হওয়ায় বিজেপি বাধ্য হয়েছিল মেরুকরণের তত্ব ভোটের প্রচারে আবার করে ঢোকাতে। মেরুকরণ নিয়ে বক্তৃতা সুর করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর ২৬ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফার ভোটেও মানুষ সাড়া দেয়নি। নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত হিসেবে দ্বিতীয় দফার ভোটের হার ৬৪ শতাংশ। এই কেন্দ্রগুলিতে আগেরবার যা ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ। গেরুয়া শিবিরের সব নেতার মুখেই যেন এখন ‘ইসলামোফোবিয়া’।
আসলে, বিজেপির চিন্তা আরও বেড়েছে যখন চারটি ডাবল ইঞ্জিন রাজ্য, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র-এ ভোটের হার কমেছে। বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশের মতো, যা কিনা প্রথম দফার ভোটের চেয়েও ৬ শতাংশ কম। বিহারেও ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে আরও কম, সাড়ে ৫৪ শতাংশের মতো। মধ্যপ্রদেশে সামান্য বেশি, সাড়ে ৫৭ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই, কম ভোটের হার নিয়ে সব রাজনৈতিক মহলেই চলছে বিশ্লেষণ । তবে মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে এখনও তেমন একটা উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না, বা ভোটের কোনও হাওয়াই ওঠেনি, এটা বোঝা যাচ্ছে।
বিজেপির একাংশ মনে করছে সাধারণ মানুষ বোধহয় আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন এবং কট্টর সমর্থকরা ছাড়া অন্যরা ভোট দিতে যাচ্ছেন না। পাশাপাশি, বিরোধীরা মনে করছে, মোদীর ম্যাজিক নিয়ে মানুষের উৎসাহ শেষ বলেই অনেক ক্ষেত্রে ভোটের হার নিম্নমুখী। যার প্রমান হিসেবে বলা হচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে ভোটের হার কম।
এর পর থেকেই মোদী বলছেন, ‘কংগ্রেসের শাহজাদা ও তাঁর বোন দু’জনেই ঘোষণা করেছেন কংগ্রেস জিতলে দেশের মানুষের জমানো সম্পদ, গাড়ি, স্কুটার, স্ত্রীধন, মঙ্গলসূত্র, সোনা সব কিছুতে এক্স রে হবে। ঘরে ঘরে এক্স রে করে তারা সম্পদ লুট করতে চায়। সেই সম্পদ বণ্টন করবে পছন্দের ভোটব্যাঙ্ককে। আপনারা কি কংগ্রেসকে নিজেদের সম্পদ লুটতে দেবেন?’
পাশাপাশি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলা শুরু করেছেন, ‘কংগ্রেস মুসলিম পার্সোনাল ল কায়েম করবে, তিন তালাক প্রথা চালু করবে। দেশে কি তা হলে শরিয়তি আইন চালু হবে? ওই আইনে দেশ চলবে? তুষ্টিকরণের রাজনীতির জন্য রাহুল সব করতে পারেন। কিন্তু বিজেপি তা কিছুতেই হতে দেবে না। আমরা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সারা দেশে চালু করব। উত্তরাখন্ডে হয়েছে। বাকি রাজ্যেও হবে এবারের জয়ের পর।’