বাঁকুড়ায় সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে গোঁজ প্রার্থী দিল বিক্ষুব্ধরা, চাপে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলা-সহ গোটা দেশে লোকসভা নির্বাচন চলছে। ইতিমধ্যেই দু’দফার নির্বাচন হয়ে গেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাঁটায় জেরবার বঙ্গ বিজেপি (BJP)। তার ফলে বাংলার নানা জায়গায় নির্দল প্রার্থী/ গোঁজ প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়ে পড়েছে বিজেপি নেতারা। আর এই কাণ্ডে সাংঘাতিক চাপে বিজেপির নেতৃত্ব বলে জানা গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আবহে কোনও পদক্ষেপ করলে তাতে আরও হিতে বিপরীত হবে, আর সেই জন্যেই রাজ্য নেতৃত্বের উদ্বেগ বাড়ছে বলে খবর।
কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে (Subhas Sarkar) বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে বিজেপির বিক্ষুব্ধদের হাতে তালাবন্দি হতে হয়েছিল। ছাতনা ও শালতোড়াসহ, খোদ বাঁকুড়া শহর এলাকায় সুভাষ সরকারের ছবিতে কালি মাখিয়ে দিয়েছিল বিজেপির বিক্ষুব্ধরা। লোকসভার বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে দলের একাংশ বারেবারে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দাবি জানিয়েছিল বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী বদলের জন্য। কিন্তু বিজেপি ফের সুভাষ সরকারকেই বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করায় হতাশ হয় দলের বিক্ষুব্ধদের একটা বড় অংশ। এবার তারই প্রতিবাদে দলীয় প্রার্থী সুভাষ সরকারের (Subhas Sarkar) বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী দিল বিক্ষুব্ধ অংশ। এই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে গেরুয়া শিবির।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার জেলাশাসকের দপ্তরে গিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেন বিজেপির বাঁকুড়া জেলার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জীবন চক্রবর্তী (Jiban Chakraborty)। সুভাষের বিরুদ্ধে তিনি প্রার্থী হওয়ায় বিজেপিরই ভোট কাটবে বলে আশঙ্কা করছেন বিজেপির নেতৃত্ব। লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে এভাবে দলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য বিজেপি।
প্রসঙ্গত, দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার বিরুদ্ধে দলেরই বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা দাঁড়িয়ে পড়েছেন। বীরভূমে আবার প্রার্থী ঘোষণা করে শেষ মুহূর্তে আর একজনকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বিজেপি। এবার এই একই চিত্র দেখা যাচ্ছে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে।