বাকি ছ’সপ্তাহ, NEET PG ভর্তি-পরীক্ষার পদ্ধতি বদল! নয়া নিয়ম কেমন?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল বোর্ড অফ এগজামিনেশনস ইন মেডিক্যাল সায়েন্সে, ডাক্তারির উচ্চশিক্ষায় ভর্তির প্রায় সমস্ত পরীক্ষার পদ্ধতি ফেলল গেল। নয়া পদ্ধতিতে পরীক্ষার মোট প্রশ্ন ও সময়কে পাঁচ ভাগে-ভাগ করা হয়েছে। এক-একটি ভাগের প্রশ্নের উত্তর লেখা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারলে, তারপর পরবর্তী ধাপে যাওয়া যাবে। উত্তর লেখার পর, তা বদল করার কোনও সুযোগ থাকছে না। যা ঘিরে দেশজুড়ে চিকিৎসক ও ছাত্রছাত্রী মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
নিট পিজি ছাড়াও নিট এমডিএস, নিট এসএস, ডি এনবি-পিডিসিইটি, এফএম জিই, এফইটি, এফডিএসটি, জি পিএট এবং ডিপিইই; ডাক্তারি এবং ফার্মাসি মিলিয়ে মোট ন’টি পরীক্ষায় নয়া নিয়ম কার্যকর হবে। ফার্মাসির স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা রয়েছে তালিকায়।
নিট পিজিতে মোট ২০০টি প্রশ্ন থাকে, নম্বর ৮০০। সময় সাড়ে তিন ঘণ্টা। বোর্ড ২০০টি প্রশ্নকে ৫ ভাগে ভাগ করেছে; এ, বি, সি, ডি এবং ই। প্রতিটি ভাগে বরাদ্দ থাকছে চল্লিশটি প্রশ্ন। মোট সময়কেও ভাগ করা হয়েছে পাঁচ ভাগে। প্রতিটি বিভাগের জন্য ৪২ মিনিট সময় দেওয়া হচ্ছে। বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীরা একটি বিভাগের উত্তর লেখা শেষ করতে পারলে তবে দ্বিতীয় বিভাগের উত্তর দেওয়া শুরু করতে পারবে। শেষ করতে হবে ৪২ মিনিটের মধ্যে। উত্তর লেখার পর পরিবর্তন করার থাকলে তা করতে হবে ৪২ মিনিটের মধ্যেই। এবারও পরীক্ষা নেওয়া হবে অনলাইনে এবং এমসিকিউ পদ্ধতিতে।
আগামী ২৩ শে জুন এবারের নিট পিজি হতে চলেছে। কয়েক লক্ষ ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় বসবেন। তার মাত্র এক মাস আগে পরীক্ষাপদ্ধতি বদলের সিদ্ধান্তে তরুণ চিকিৎসকরা কার্যত ক্ষিপ্ত। ইউনাইটেড ডক্টর্স ফ্রন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ লক্ষ্য মিত্তল বলেন, ছয় সপ্তাহও বাকি নেই। অথচ পরীক্ষা পদ্ধতি পাল্টে গেল। এসব কী হচ্ছে! নিরাপত্তার দোহাই দেওয়া হচ্ছে। কীসের নিরাপত্তা বোঝা যাচ্ছে না। নিয়ামক সংস্থা নিরাপত্তায় বিশেষজ্ঞ নয়। যাই হোক, যখন করা হয়েছে, মানতে রাজি। সামনের বছর হোক। এ বছর যেন আগের পরীক্ষা পদ্ধতিতেই পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার্থী চিকিৎসকদের কথায়, তাঁরা চলতি পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিলেন। নিতান্তই যদি বদল করতে হয়, পরের বছর থেকে হোক।