মন্দির নগরী মল্লরাজাদের বিষ্ণুপুরকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সিটি’ গড়ার প্রতিশ্রুতি তৃণমূল প্রার্থী সুজাতার
TMC candidate
Sujata Mondal promises to make Bishnupur a ‘World Heritage City’

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গুরুদেবের ইচ্ছেপূরণে মল্লরাজ বীর হাম্বির বিষ্ণুপুরকে ‘বৃন্দাবন’ রূপে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। অনেকটাই সফল হয়েছিলেন মল্লরাজ হাম্বির। অনেক ঐতিহাসিক, পুরাতত্ত্ববিদ মনে করেন বিষ্ণুপুরের হেরিটেজ মর্যাদা পাওয়া উচিত। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের প্রতিশ্রুতি, তিনি জিতলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিষ্ণুপুর শহরকে হেরিটেজ সিটি হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে পদক্ষেপ করবেন।
সুজাতা বলছেন, বিষ্ণুপুরের ইতিহাস ও ধর্ম-সংস্কৃতি অনেক প্রাচীন। অথচ, ১০ বছর সাংসদ থাকা সত্বেও বিজেপি প্রার্থী বিষ্ণুপুর লোকসভা এলাকার জন্য কিছুই করেননি। তিনি আরও বলছেন, জেতার পর প্রথমেই তিনি বিষ্ণুপুরকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সিটি বানাতে উদ্যোগী হবেন। বিষ্ণুপুর শহরের উন্নয়ন হলে তাকে কেন্দ্র করে চারপাশের গ্রামের মানুষও উপকৃত হবেন। কর্মসংস্থান বাড়বে। শুধু তাই নয়, সোনামুখীর বাইপাস, বড়জোড়ায় উড়ালপুল, ওন্দায় পানীয় জলের সমস্যা মেটাবেন বলেও জানাচ্ছেন সুজাতা (Sujata Mondal)। এছাড়াও বিষ্ণুপুর (Bishnupur) লোকসভা এলাকায় অনেক কিছু করার স্বপ্ন রয়েছে তাঁর।
মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর পর্যটন কেন্দ্র, মল্লরাজাদের তৈরি টেরাকোটা মন্দির আজও ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। শহরের মন্দিরগুলি রয়েছে অর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইণ্ডিয়ার অধীনে। ভিনদেশি পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে বিষ্ণুপুরে। বৈষ্ণবদের অন্যতম পীঠস্থান বিষ্ণুপুর। বৈষ্ণব আচার্য শ্রীনিবাসের সাধনক্ষেত্র হিসাবেও বিষ্ণুপুর পরিচিত। বিষ্ণুপুরকে হেরিটেজ সিটির তকমা দেওয়ার জন্য নাগরিকরা দীর্ঘদিন ধরেই সরব। এবার ভোটের প্রচারে বিষ্ণুপুরকে হেরিটেজ তকমা আদায়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়িত হয় সেটাই দেখার।