আমি বেঁচে থাকতে NRC করতে দেব না – বনগাঁয় ঘোষণা মমতার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এদিন জোড়া সভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বনগাঁ থেকে এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বেঁচে থাকতে সিএএ করতে দেব না। আপনাদের সংরক্ষণ কেউ আটকাতে পারবে না। কিছু করতে হলে আমার লাশের উপর দিয়ে যেতে হবে মোদীকে।” মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবিতে প্রশ্ন তোলেন মমতা, বলেন;”মতুয়াদের প্রতি যদি মোদীর এত ভালবাসা, তবে তাঁদের নিঃশর্তে অধিকার দিচ্ছেন না কেন মোদী? ফর্ম ফিল আপ করতে বলছেন না কেন? এমনিই দিয়ে দিন। করবে না। আপনারা বরং এক কাজ করুন। এখানকার যে বিজেপি প্রার্থী তাঁকে বলুন আবেদন করতে, ফর্ম ফিল আপ করতে। দেখবেন করবে না। কেন করেনি? তার কারণ তিনি বিদেশি হয়ে যাবেন। কেউ করেনি। আসলে এটা একটা চক্রান্ত।”
বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী সম্পর্কে মমতা বলেন, “এখানকার বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন, কী করেছেন? না করেছে। আমরা ধরে ফেলেছি। নাগরিকত্ব দেব বলে কিছু কিছু জায়গায় টাকা তুলেছে।”
মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে মমতা বলেন, “মোদী সরকার দেশ থেকে যাবে। আপনাদের দিদি দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের সরকার গড়বে। এখনও পর্যন্ত হিসাব বলছে, বিজেপি ২০০-ও পার করবে না। বড়জোর ১৯৫। আর ‘ইন্ডিয়া’ ৩১৫ পাবে। মোদীর গ্যারান্টি হল ৪২০ গ্যারান্টি। মানে গ্যারান্টি নেই। ‘নো গ্যারান্টি’।”
মমতা বলেন, “আমার নাম ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন করছে। আর নাম পায়নি খুঁজে। সে তার মাকে বলছে, ‘চল মোদীকে ভোটটা দিয়ে আসি। আমার বাড়িতে জল দিয়েছে’। ঘেঁচু দিয়েছে। উনি জলটা দেননি। জলটা আমরা দিয়েছি। এই জলের ৭০ শতাংশ টাকা, জমি এবং রক্ষণাবেক্ষণ সব রাজ্য সরকার করে। মোদী বাবু কিচ্ছু করেনি। আপনারা নাকি বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ পান। মোদীবাবু বলছে। পাচ্ছেন নাকি? বিনা পয়সা গ্যাস পাচ্ছেন? এ হল গ্যাস বেলুনের থেকেও বড় বেলুন।”
সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “মা বোনেদের অসম্মান করার জন্য টাকা খরচ করছে, মদ দিচ্ছে, বোমা-গুলি-পিস্তল দিচ্ছে। যা ইচ্ছে করে যাচ্ছে। আমি ওদের বলি একটা মা-বোনেদের সম্মান চলে গেলে সেই সম্মান ফিরবে না। মা-বোনেদের নিয়ে এই চক্রান্তের খেলা খেলবে না। নরেন্দ্র মোদী জেনে রাখ, আমাদের এখানে মা বোনেদের গায়ে হাত দিতে গেলে সবাই ভয় পায়। হাত দিলে তাকে জেলে থাকতে হয়। এটা তোমাদের উত্তরপ্রদেশ নয়, মধ্যপ্রদেশ নয় যে, তফসিলিদের উপর অত্যাচারে ভারতে এক নম্বর। এটা বাংলা। এটা রবীন্দ্রনাথের বাংলা। এই বাংলায় অনেক মানুষ অনেক ধর্ম অনেক সম্প্রদায়।”