নির্বাচন কমিশন তো কলের পুতুল! মোদি ঘোরাচ্ছেন, ঘুরছেন – ECI-কে নিশানা মমতার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বুধবার জোড়া কর্মসূচি ছিল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলির ও হাওড়ায় দলীয় প্রার্থীদের হয়ে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী বলেন, বলেন, “নির্বাচন কমিশন তো কলের পুতুল! মোদি ঘোরাচ্ছেন, ঘুরছেন। আড়াই মাস ধরে নির্বাচন চলছে। আর কাজ নেই দেশে? সব কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। পাঁচ বছরের মধ্যে এক বছর যদি নির্বাচনেই চলে যায়, তাহলে চার বছরে সব কাজ হবে কী করে? এই গরমে এত কষ্ট হচ্ছে মানুষের, কমিশন কি একবারও এসে দেখে গিয়েছে? নিজেরাতে এসি ঘরে বসে আছেন, কী করে বুঝবেন? শুধু মোদীবাবুকে সুযোগ দেওয়ার জন্য বসে রয়েছে কমিশন। বাংলার সঙ্গে অন্যায় করার প্রতিবাদে এক জন নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেছিলেন।”
প্রচারের শুরুতেই তিনি বলেন, এত রোদের মধ্যেও মানুষ যেভাবে এসেছেন তা দেখে তিনি আপ্লুত। বিজেপিকে হারাতে গেলে একটা একটা সিট খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের অস্তিত্ব থাকবে না। মা-বোনদের সম্মান থাকবে না। বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, “বিজেপি দেশটাকে জেলে ভরে দিয়েছে। নিজেরা দেশের টাকা লুট করছে। চোর ডাকাতদের নিজেদের ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়েছে। বিজেপির মতো চোর পার্টি একটাও নেই। সারা দেশ বুঝতে পারছে ওরা(বিজেপি) কী। সারা বিশ্ব বুঝতে পারছে কি চলছে দেশে। চার দফায় বিজেপি হারছে। বাকি তিন দফাতেও হারবে। জুমলাবাজি করেও জিততে পারবে না।”
মমতা বলেন, “বিজেপি বাংলাকে চায় না। বাংলাকে ভালবাসে না। বিজেপির জেতার অঙ্ক নেই। সন্দেশখালির চক্রান্ত দেখলেন তো। চক্রান্ত করে রেগে যাচ্ছে। যা খুশি করে জিততে চাইছে বিজেপি।” মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, “প্রতিটা কাজে ভাঁওতা দিচ্ছে। কোনও ফোরটোয়েন্টি গ্যারান্টি। রবীন্দ্রনাথকে চেনেন না। ছবি উল্টো করে ধরেছিলেন। আর বিজ্ঞাপনে বলছে যে উনি বাংলার নেতা। বাংলার দুর্ভাগ্য কোনও দিন হবে না। ও রকম নেতাকে কোনও দিন বাংলা গ্রহণ করবে না।”
মমতা বলেন, “বিজেপি কোনও কাজ করেনি। জিতলে ১৫ লক্ষ দেবে বলেছিল বিজেপি, দেয়নি। এই সব মোদীর ভাঁওতা। চাকরিও দেওয়া হয়নি ছেলেমেয়েদের। সব ভাঁওতা। আমি ওঁর নাম দিয়েছি প্রচার বাবু। নিজের প্রচার ছাড়া কিছু ছায় না। যে কোনও পোশাক পরে ছবি তুলে ফেলবেন। ছবি তুলতে আর প্রচার করতে ভালবাসেন।”
কেন্দ্রের প্রকল্পকে খোঁচা দিয়ে মমতা বলেন, “আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় ৭০ বছরের পর সকলকে চিকিৎসা দেবেন বলছেন মোদীবাবু। আপনার নিজের বয়স কত হয়েছে, একবারও গুনে দেখেছেন? নির্বাচনের আগেই বা কেন বলেননি? আমরা তো সব নির্বাচনের আগে করেছি। নির্বাচনের সময় এসব বলেল নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধির লঙ্ঘনহয়। মোদীবাবু আপনি নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি ভাঙছেন।”
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে কেউ হাত লাগালে খুন্তি, হাঁড়ি, কড়ার খেলা হবে। জানে না বাংলা অন্য রকম। মা-বোনেরা জোট বাঁধলে ওদের বদলে দিতে বেশি সময় লাগবে না।’’ সিএএ এবং এনআরসি করতে দেবেন না বলেও জানান তৃণমূল সুপ্রিমো।