সায়নী, সৃজন না-কি অনির্বাণ! মহিলা ভোটই ঠিক করবে যাদবপুরে শেষ হাসি হাসবে কে?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: এবারের লোকসভা ভোটে বাংলার একাধিক আসনে নির্ণায়ক শক্তি হতে চলেছে মহিলা ভোট। গোটা ভোট পর্বে, প্রচারে মহিলাদের উপস্থিতি ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। যাদবপুর লোকসভা নির্বাচনে মহিলারাই হতে চলেছেন নির্ণায়ক শক্তি। যাদবপুরের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটিতেই পুরুষের তুলনায় মহিলা ভোটারের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। তৃণমূল যাকে ‘অ্যাডভান্টেজ’ হিসেবেই দেখছে। তৃণমূল নেতাদের কথায়, মহিলা ভোটদাতার সংখ্যা বেশি মানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে উপভোক্তার সংখ্যাও বেশি। যাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পান, তাঁদের ভোট তৃণমূলের বাক্সেই পড়বে।
গত ১ জানুয়ারি যাদবপুর, টালিগঞ্জ, ভাঙড়, সোনারপুর উত্তর ও দক্ষিণ এবং বারুইপুর পূর্ব ও পশ্চিম বিধানসভা আসনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। ভাঙড় ও বারুইপুর পূর্ব বাদে বাকি সব জায়গায় মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি। তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষকে দেখতে রাস্তার ধারে ঢল নামছে মহিলাদের। সায়নীর প্রায় সব কর্মসূচিতেই মহিলাদের উৎসাহে ভাটা পড়ছে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সায়নী ঘোষ মহিলা হওয়ায় তিনি সহজেই মহিলাদের সঙ্গে মিশে যেতে পারছেন। সিপিএম বা বিজেপির প্রার্থীরা সে সুযোগ পাচ্ছেন না। সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের প্রচারে তরুণ থেকে প্রবীণ ভোটারদের উপস্থিতি টের পাওয়া যাচ্ছে। বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রচার অনেকটাই ফিকে।
মহিলাদের জন্য একাধিক প্রকল্প এনেছে রাজ্য, তার কতটা প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়েই চর্চা চলছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যে বড় ফ্যাক্টর হতে পারে, তা মানছেন বিরোধীরাও। মহিলা ভোটারদের মুখেও উঠে আসছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা।