কংগ্রেস-সিপিএমের মহাঘোঁট! দিল্লিতে আমরা ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গে আছি, ইসবার সরকার আমরা গড়ব – দাবি মমতার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আরামবাগে এদিন দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে সভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, “আরামবাগের রাস্তা ও অন্য সংস্কারের কাজ হয়ে গেলে কামারপুকুর এবং জয়রামবাটিও উন্নত হবে। পর্যটন বাড়বে। মন্দির পর্যটন বাড়বে। আরামবাগের এই অঞ্চলে প্রচুর মন্দির আছে। আর আছে টেরাকোটা। তাই পর্যটনের জন্য অনেক কিছু করা হয়েছে। আরও হচ্ছে। পর্যটন বাড়লে আরও উন্নতি হবে। ৮৯০ কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন করে গিয়েছি। নতুন রাস্তার প্রকল্পে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ জুড়বে। তাতে পর্যটনের নতুন ক্ষেত্র খুলে যাবে।”
বামেদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, “সিপিএমের হার্মাদ ছিল, আজ তারাই বিজেপির হার্মাদ। বাম, কংগ্রেসকে একসঙ্গে বিঁধিয়ে মমতা বলেন, “এরা সব চাকরিখেকো। দশলক্ষ চাকরি আমি প্রস্তুত রেখেছি, সিপিএম-কংগ্রেস করতে দিচ্ছেন না।”
চব্বিশের ভোট সম্পর্কে মমতা বলেন, “এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। বাংলা দেশ স্বাধীন করেছিল। এ বারও বাংলা দেশকে পথ দেখাবে। মোদীকে সরাতে হবে। মনে রাখবেন, এই নির্বাচনে যদি ওরা যেতে আর সংবিধান থাকবে না। ভোট হবে না। আপনাদের অধিকার থাকবে না। তাই বুঝে শুনে নিজের ভোট দেবেন। বাংলায় কোনও জোট নেই। এখানে শুধু কংগ্রেস-সিপিএমের মহাঘোঁট আছে। দিল্লিতে আমরা ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গে আছি। ইসবার ‘ইন্ডিয়া’ সরকার আমরা গড়ব। কিন্তু এখানে একটা ভোটও সিপিএম-কংগ্রেসকে দেবেন না। কেন্দ্রে ‘ইন্ডিয়া’ সরকার গড়তে আমরা একাই একশো।”
শাহের শেয়ারে টাকা জমানো মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এদিন আক্রমণের সুর চড়ান মমতা, “এবার যদি ওরা জিতবেই তবে কেন অমিত শাহ বলবেন, শেয়ারে টাকা জমাও। পরে লাভ পাবেন। আসলে শেয়ার সব ধসে গিয়েছিল। এখন নিজেদের টাকা দিয়ে শেয়ার ঠিক করছে। ওই শেয়ারে যারা টাকা জমাবে, তাদের সব ধসে যাবে। কেউ জমাবেন না। অমিত শাহ নির্বাচন চলাকালীন এ কথা বলতে যাবেন না। এটা পরিষ্কার আদর্শন আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। শেয়ারে টাকা ঢালবেন কি ঢালবেন না, এটা সম্পূর্ণ আপনাদের ব্যাপার। আমি বুঝি না। কিন্তু মোদী এ বার আসছেন না।”
মোদীকে নিশানা করে মমতা এদিন বলেন, “বাঙালিরা তোমাদের পছন্দ করে না। ওরা (বিজেপি) বিজ্ঞাপনে প্রচুর টাকা ব্যয় করে। কিন্তু গরীবদের দেওয়ার টাকা নেই। টাকা খরচ করে মন পাওয়া যায় না।”
সন্দেশখালি প্রসঙ্গে এক বিস্ফোরক সম্ভাবনার কথা বলেন। মমতা জানান, “মা বোনেদের দিয়ে কী লিখিয়ে নিয়েছে, কেউ জানেন না। এরা চক্রান্ত করে। দেখবেন মাঝে মধ্যেই এরা মন্দির থেকে একটা পুতুল সরিয়ে দেয়। পুতুল মানে ওদের পুতুল, আমাদের ঠাকুর দেবতা। আমরা সরাই না। আমরা সম্মান করি। সে যে দেবতাই হোক। ওরা সরাতে পারে। সমস্ত জেলা প্রশাসনকে বলব মন্দিরগুলো খেয়াল রাখুন, সন্দেশখালি ব্যর্থ হওয়ার পরে ওদের প্ল্যান ওরা মন্দিরে মন্দিরে গিয়ে নতুন অশান্তি করতে পারে। সেগুলো করতে দেবেন না। কোনও জায়গায় যেন অশান্তি না হয়। যেখানে অশান্তি হবে, সেখানকার প্রশাসনকে দায়িত্ব নিতে হবে। তাই খেয়াল রাখুন। যেখানে যেখানে কিছু সরাবে সেখানে নতুন মূর্তি এনে দেবেন। আমরা ওঁদের মতো নয়। আমরা মন্দির থেকে মূর্তি সরাই না।”