নিরুৎসাহী ভোটাররা! ভোটদানের হার কম, ময়নাতদন্তে নাড্ডারা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভোটাররা নিরুৎসাহী, কেন কম হচ্ছে ভোটদানের হার? ২০১৪ ও ২০১৯ সালের মতো ভোটারদের মধ্যে আর উৎসাহ দেখা যাচ্ছে! অস্বস্তিকর নীরবতা চারিদিকে, বিজেপির অন্দরে উঠছে প্রশ্ন। প্রত্যেক দফার শেষে প্রশ্নগুলো তীব্রতর হয়ে উঠছে। চিন্তা বাড়ছে বিজেপির। শেষ দু’দফার স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে জরুরি বৈঠক ডাকলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা (JP Nadda)। সোমবার, পঞ্চম দফা চালাকালীনই বিজেপির সব সাধারণ সম্পাদক ও উচ্চ পদাধিকারীদের নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করলেন নাড্ডা। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের থেকে রিপোর্ট নেওয়া ছিল। ভোটের গতিপ্রকৃতি সংক্রান্ত খবরাখবর নিয়েছেন নাড্ডা। শোনা যাচ্ছে, খোদ মোদী-শাহই নাকি রিপোর্ট চেয়েছেন!
বিএল সন্তোষ, অশ্বিনী বৈষ্ণবরাও ছিলেন বৈঠকে। আলোচনার বিষয় ছিল ভোটের হারে ধস। শহরে, গ্রামে কেন ভোটের হার কম, তা জানার জন্য দ্বিতীয় দফার পরই বিভিন্ন রাজ্যের থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। বিজেপির চিন্তার কারণ হল, বিজেপির নিজের ভোটব্যাঙ্ক যেখানে শক্তিশালী, সেই রাজ্য ও লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে কেন ভোটাররা বুথমুখো হচ্ছেন না? শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, বিজেপির বুথ স্তরের কর্মী ও নেতারাই ভোটারদের বুথে নিয়ে আসতে পারছেন না। দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের তুলনায় বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের হার কমেছে। বৈঠক চলাকালীন বিভিন্ন রাজ্য থেকে রিপোর্ট এসেছে, তাতেও ভোটদানের হার মোটেও আশানুরূপ নয়। মহারাষ্ট্রে ভোট পড়েছে মাত্র ৪৯ শতাংশ!
দু’দফা বাকি থাকতে বিজেপির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে ভোটের ইস্যু নিয়ে! বিজেপির কোনও ইস্যুই এবারের নির্বাচনে দাগ কাটতে পারছে না। বিজেপির কোনও স্লোগান বা থিম সে’ভাবে সাড়া জাগাতে পারছে না। মোদীর ‘গ্যারান্টি’ও না। এবারই প্রথম এমনটা দেখা যাচ্ছে।