কেন্দ্রের BJP সরকারের মেয়াদ আর মাত্র ১০ দিন! ডেডলাইন দিয়ে দিলেন অভিষেক
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজ, তিনটি জনসভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভাতে গিয়ে দলের প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভা করেন তিনি। অভিষেক বলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মেয়াদ আর মাত্র ১০ দিন। ৪ তারিখ দেশে পরিবর্তন হবেই। কেউ আটকাতে পারবে না।
বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “যদি কেউ বলেন, বিজেপি আবাসের টাকা দিয়েছে, তাঁকে বেঁধে রাখবেন। মারবেন না। আমাকে ফোন করবেন। আমি রিপোর্ট কার্ড দিয়ে প্রতিনিধি পাঠাব। বলে দিয়ে গেলাম। দশ পয়সাও
আবাসের জন্য দেয়নি মোদী সরকার।” মোদী সরকারকে বিঁধিয়ে বলেন, “২০১৪ সালে রান্নার গ্যাসের দাম ছিল ৪০০ টাকা, এখন হাজার টাকা। পেট্রল-ডিজেল, তেল, ডিম, রসুন সব কিছুর দাম বেড়েছে।”
চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, “ক্ষমতা থাকলে সুভাষ সরকার ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসুন। আমি ১৩ বছরের মা-মাটি-মানুষ সরকারের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসব। দেখাব, ১০ বছরে মোদী সরকার বাঁকুড়ার মানুষের জন্য কী করেছে, আর আমরা এখানে প্রত্যাশিত ফল না পাওয়ার পরেও কী করেছি।”
লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বলেন, দেখি কে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে। যত দিন তৃণমূল সরকার রয়েছে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীও বন্ধ করতে পারবেন না লক্ষ্মীর ভান্ডার। আরও বলেন, “২০১৯ সালে জিতে ১০০ দিনের টাকা, আবাসের টাকা বন্ধ করেছিল, এ বার জিতে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করতে চায়। তৃণমূল থাকতে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে না। সুভাষ সরকার ভোট চাইতে গেলে গাছে বেঁধে জিজ্ঞেস করবেন, আপনাদের নেত্রী বলছে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করবেন, তাতে আপনার দলের অবস্থান কী?”
বিদায়ী সাংসদ সুভাষ সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ প্রকৃত প্রাপক ১০০ দিনের কাজের টাকা পাননি তিন বছর ধরে। কিন্তু সুভাষ সরকার এবং বিজেপি বিধায়কেরাই মানুষের টাকা বন্ধ করেছেন। পাঁচ বছরে পাঁচ সপ্তাহও সুভাষ সরকার এই লোকসভা কেন্দ্রকে দেননি। এখন ভোট এসেছে তাই আপনাদের জুতো পরিষ্কার করছে, সাবান মাখিয়ে দিচ্ছে। আমি মায়েদের বলব, এদের দিয়ে শৌচালয়ও পরিষ্কার করিয়ে নেবেন।’’
বিদায়ী সাংসদকে আক্রমণ করেন তৃণমূল নেতা বলেন, “২০১৯ সালে এক বুক আশা, ভরসায়, মোদীজির কথায় বিশ্বাস করে এই বাঁকুড়া থেকে সুভাষ সরকারকে জিতিয়ে সাংসদ করে দিল্লিতে পাঠিয়েছিলেন। নবজোয়ারে অনেকে বলেছে ভুল করে বিজেপিকে ভোট দিয়েছি। পাঁচ বছরে পাঁচ সপ্তাহ সময়ও এখানকার প্রতিনিধি আপনাদের দেননি।”