লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বিজেপি’র মহিলা ভোটব্যাঙ্কে ফাটল ধরাচ্ছে, চিন্তায় গেরুয়া শিবির
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভা নির্বাচনে আর দু’দফা বাকি। এরই মধ্যে বিজেপির অন্দরের সমীক্ষায় এখনও পর্যন্ত শুধুই ফাটল চোখে পড়েছে। তা ধসের আকার নিয়েছে কি না, তা নেতৃত্ব এখনও ঠাহর করতে পারেনি। তবে দলের মহিলাদের একাংশ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে ‘কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করায় চমকে গিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। একান্ত আলোচনায় বিজেপি’র অনেক নেতাই তা স্বীকার করছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে তো বটেই, ২০২১ সালেও বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন যে মহিলারা, তাঁদের একাংশ এবার তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। কারণ, তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তা। যা নিয়ে হুগলি বিজেপিতে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সপ্তগ্রাম থেকে সিঙ্গুর, পোলবা থেকে হারিট— ক্রমশ স্পষ্ট হয়েছে এই চিত্র। এবার হুগলি লোকসভা আসনে ভোটদাতাদের মধ্যে পুরুষদের থেকে মহিলারা সংখ্যায় ছিলেন বেশি। এই অবস্থায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কারণে মহিলা ভোটব্যাঙ্কে ফাটল নজরে আসায় উদ্বেগ বেড়েছে গেরুয়া শিবিরে।
তৃণমূলের হুগলি জেলার সহ সভাপতি তথা চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, বিজেপি’র অন্দরে কী সমীক্ষা হয়েছে, তা আমি জানি না। তবে ভোটের প্রচার পর্বে দেখেছি, মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে দিদির (মমতা) জয়গান করছেন। তাঁদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। বাংলার যুগান্তকারী প্রকল্পের গুরুত্ব যে শুধু ভোটকেন্দ্রিক নয়, মহিলারা সেটা বুঝেছেন। সেই কারণেই তাঁরা আমাদের পাশে রয়েছেন। যাতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আরও আর্থ-সামাজিক বিপ্লব ঘটানোর মতো প্রকল্প চালু করার শক্তি পান। সিপিএমের অন্দরে এখনও কোনও সমীক্ষা সেভাবে হয়নি। তবে সিপিএম নেতা তথা হুগলির বামপ্রার্থী মনোদীপ ঘোষ বলেন, ব্যক্তিগত সুবিধা ও উপভোক্তা গোষ্ঠী তৈরি করতে পারলে শাসকদল তার সুবিধা পায়। ফলে, তৃণমূল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পেতেই পারে, তা অস্বাভাবিক কিছু নয়।