জয়নগরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলকে ‘সজ্জন’ বলেই মনে করেন স্থানীয়রা

এই কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে গোসাবা, বাসন্তী, কুলতলি, জয়নগর, ক্যানিং পূর্ব, ক্যানিং পশ্চিম ও মগরাহাট পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র।

May 30, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
জয়নগরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে ‘সজ্জন’ বলেই মনে করেন স্থানীয়রা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একসময় এসইউসিআই আর আরএসপি’র ঘাঁটি ছিল জয়নগর লোকসভা কেন্দ্র। এখন তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। এই কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে গোসাবা, বাসন্তী, কুলতলি, জয়নগর, ক্যানিং পূর্ব, ক্যানিং পশ্চিম ও মগরাহাট পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র। ২০১৯ সাল থেকে এখানে রাজনীতির চরিত্র বদলেছে। ভোট বেড়েছে বিজেপির। কমেছে বামেদের। তবে রাজনৈতিক লড়াই যতই থাক বাম বা গেরুয়া সব শিবিরই এক সুরে বলে, এই লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল খুবই ‘সজ্জন’।

জয়নগরের পুরনো বাসিন্দাদের বাস মূলত মিত্রপাড়া-উত্তরপাড়ায়। মিত্রপাড়ার মোড়ে দুপুরে ঝিরঝির করে বৃষ্টি হচ্ছে। অটোর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি। তিনি বললেন, ‘জয়নগর শহরে রাস্তাঘাট ভালো। তবে পানীয় জল কিন্তু কিনেই খেতে হয়। অনেক জায়গায় ১০০০ ফুটের জলের কলও খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে।’ তারপর তাঁর বক্তব্য, ‘আমাদের সাংসদ কিন্তু সজ্জন মানুষ। ব্যবহার খুবই ভালো। আমাদের শুধু তাঁর কাছে একটাই দাবি, পুরসভা ভোটের মতো ঝামেলা যেন না হয়।’ মিত্রপাড়া থেকে একটু এগিয়ে গেলে মিত্রগঞ্জ। তার কিছু দূরে রাধাবল্লভতলা। সেখানকার এক বাসিন্দা বললেন, ‘আগে এখানে ছোট ছোট কারখানা ছিল। সেসব বন্ধ। মানুষকে কাজ খুঁজতে শহরে যেতে হয়। ট্রেনের হাল খুবই খারাপ। ঘণ্টায় একটা মাত্র ট্রেন। ফলে প্রচুর ভিড় হয়।’ জয়নগর পুরসভার পাশের রাস্তা দিয়ে সোজা এগলে কুলতলি। জামালতলার গুমটি চায়ের দোকানে বন্ধুদের সঙ্গে বসে মুজিববাবু, খালেদবাবুরা। ওঁরা চাষ করেন। বললেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন বাড়ির মহিলারা। বার্ধক্য ভাতাও পাচ্ছেন বাড়ির বয়স্করা। তবে আমাদের পাড়ায় কিন্তু অনেকে এসব পাচ্ছেন না।’ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা এই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে। সেখানে আবার এই সমস্যাগুলির সঙ্গে নদী বাঁধ, গণ পরিবহণের অপ্রতুলতার সমস্যা রয়েছে বলে বিস্তর অভিযোগ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen