বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

নজরুল নেই, শুনে কেঁদে ভাসিয়েছিলেন দুলাল শেখ

August 29, 2020 | < 1 min read

অসুস্থ কবি নজরুল ইসলামের কাছে সর্বক্ষণ থাকা ও দেখভাল করার কাজে নিযুক্ত হয়েছিলেন দুলাল শেখ। তখন তিনি বেশ ছোট। নলহাটি থানার কয়থা গ্রামের এই লেখাপড়া না-জানা ছেলেটিকে কবিপুত্র কাজী সব্যসাচী তাঁর অসুস্থ পিতার পরিচর্যায়, স্ত্রী উমা কাজীকে সাহায্য করার জন্যই নিযুক্ত করেছিলেন। সেই দুলালই কবির শেষ জীবনের বেশ কয়েকটি বছর সর্বক্ষণের সেবক-সঙ্গী হিসেবে জীবন কাটিয়েছিলেন কবির সঙ্গে।

১৯৭১-এ সদ্য-স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে দু’দেশের মৈত্রীদূত হিসাবে কবিকে যখন ১৯৭২ সালের মে মাসে বিমানযোগে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়, তখন পরিবারের আরও পাঁচ জন সদস্যের সঙ্গে গেছিলেন দুলাল শেখও। কবিপুত্র সব্যসাচী, পুত্রবধূ উমা, তাঁদের তিন সন্তান খিলখিল, মিষ্টি ও বাবুলদের সঙ্গে দীর্ঘদিন কবির সাহচর্যে কাটানো দুলাল তখন হয়ে উঠেছেন ওই পরিবারেরই এক জন। এতটাই ঘরোয়া যে, পরিবারের সকলের বিমানের টিকিটগুলোও ছিল তাঁর কাছে রাখা।

ঢাকায় গিয়ে ধানমন্ডির কবিভবনে কবির শয়নকক্ষেই বিছানা পাতা হয়েছিল দুলালের। অথচ, কবির জীবনের শেষ সময়টিতে তাঁর পাশে আর থাকা হয়নি দুলালের। মায়ের গুরুতর অসুস্থতার খবরে ফিরতে হয়েছিল বীরভূমের কয়থায়। মাস কয়েকের মধ্যেই মা হালেমা বিবির মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর বড় ছেলে আবার ঘর ছাড়ুক, বৃদ্ধ বাবা মোফেজ শেখ হয়তো সেটা চাননি। ছেলেকে সংসারের বাঁধনে জড়িয়ে দিতে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার আতাই গ্রামের মাসতুতো বোন ফরিদা বিবির সঙ্গে দুলালের বিয়ে দিয়ে দেন। দুলালের আর ফেরা হয়নি ঢাকায়। 

তার পরে এল ১৯৭৬-এর ২৯ অগস্টের সেই বেদনাময় দিনটি। ঢাকায় প্রয়াত হলেন বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম। রেডিও-তে কবির মৃত্যুর সংবাদ শুনে নলহাটি স্টেশনে শিশুর মতো সেদিন কেঁদে বুক ভাসিয়েছিলেন দুলাল। 

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Dulal Sheikh, #Nazrul Islam

আরো দেখুন