বিশ্বের দরবারে বাংলার নাম উজ্জ্বল করেছেন যে ক্রীড়াবিদরা

বাংলা সবসময়ই সবাইকে পিছনে ফেলেছে। খেলাধুলোতেও তেমনি যুগে যুগে এসেছেন এক এক প্রতিভা এবং রেখে গেছেন নিজের ছাপ।

August 29, 2020 | 3 min read
Published by: Drishti Bhongi

বাংলা মানেই প্রতিভা। শিল্প থেকে সাহিত্য, ব্যবসা থেকে রাজনীতি, বিজ্ঞান থেকে খেলাধুলো – সব ক্ষেত্রেই উজ্জ্বল বাঙালি তারকারা। বাংলা সবসময়ই সবাইকে পিছনে ফেলেছে। খেলাধুলোতেও তেমনি যুগে যুগে এসেছেন এক এক প্রতিভা এবং রেখে গেছেন নিজের ছাপ।

আজ জাতীয় ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে দেখে নিন এমনই কিছু সফল ক্রীড়াবিদদের তালিকা:

সৌরভ গাঙ্গুলী

বাংলার সিংহাসনে তিনিই আজও মহারাজ। বিশ্বের দরবারে তিনি বাংলাকে বারবার গর্বিত করেছেন। সে ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবেই হোক বা বিসিসিআই- এর  সভাপতি হিসেবেই হোক। তিনিই সেরা।

চুনী গোস্বামী

আসল নাম সুবিমল। তবে ভারতীয় তথা আন্তর্জাতিক ফুটবল মহল তাঁকে চুনী গোস্বামী নামেই চিনত। ১৯৬২ এশিয়ান গেমসে চুনী গোস্বামীর নেতৃত্বেই ভারতীয় ফুটবল দল সোনা জেতে। খেলা ছাড়ার পর তিনি জাতীয় দলকে কোচিংও করিয়েছেন। আদ্যান্ত মোহনবাগানী সুবিমল বাংলার হয়ে দীর্ঘদিন ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলেছেন। তিনি বাংলার ক্রিকেট দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন।

মনোহর আইচ

বাংলার প্রথম বডিবিল্ডার যিনি আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিতি পেয়েছিলেন। ১৯৫২ সালে আয়োজিত মিস্টার ইউনিভার্স-গ্রুপ ৩ বিভাগে তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন। বডি বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে এশিয়ান গেমসে তিনবার স্বর্ণ পদক তার দখলে। মাত্র ৪ ফুট ১১ইঞ্চি উচ্চতা হওয়ার কারণে তাকে ‘পকেট হারকিউলিস’ ও ‘ভারতীয় শরীরচর্চার জনক’ নামে অভিহিত করা হত।

জ্যোতির্ময়ী শিকদার

১৯৯৫ সালে এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৮০০ মিটারে সোনাজয়ী হন। ১৯৯৮ এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৬০০ এবং ১৫০০ মিটারে উনি ব্রোঞ্জ লাভ করেন এবং ওই একই বছরে ব্যাংককে এশিয়ান গেমসে ওই দুই বিভাগে সোনা জয় করেন। এই রানার বাংলার চিরকালীন গর্ব।

ঝুলন গোস্বামী

ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের এই অলরাউন্ডার বাংলার গর্ব। তার টেস্ট বোলিং এভারেজ ২০ এরও কম। ২০০৬-০৭ মৌসুমে তিনি ইংল্যান্ডে বিরুদ্ধ প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ে ভারতীয় দলের হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ২০০৭ সালের বর্ষসেরা আইসিসি নারী খেলোয়াড় পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১১ সালের শ্রেষ্ঠ নারী ক্রিকেটার হিসেবে এম এ চিদাম্বরম ট্রফি জিতে নেন।

পিকে বন্দোপাধ্যায়

ফুটবলের হাত ধরে ময়দানে আসার পরই প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বদলে হয় পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় বা ময়দানের বড় প্রিয় পিকে দা হয়ে ওঠেন এই ফুটবলের হাত ধরেই৷ তিনি শুধুমাত্র ফুটবলার বা কোচ নন, তিনি একজন ব্যক্তিত্ব একটা বর্ণময় অধ্যায়৷ খেলোয়াড় হিসেবে যাত্রা শুরু অবশ্য বাংলা থেকে নয় বিহার থেকে৷ বাংলায় এসে এরিয়ান ও পরে ইন্ডিয়ান রেলওয়েজের হয়ে খেলেছিলেন তিনি৷ শুধু ক্লাব ফুটবলই নয় জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন তিনি৷ 

অনির্বাণ লাহিড়ী

পেশাদার গলফ খেলোয়াড়, যিনি বর্তমানে ইউরোপীয় ট্যুর, এশিয়ান ট্যুর এবং পিজিএ ট্যুরে খেলেন।

দীপা কর্মকার

এই আরটিস্টিক জিমন্যাস্টকে বাংলা ‘সোনার মেয়ে’ নামে জানে। দীপার হাত ধরেই ভারতের জিমন্যাস্টিকে আন্তর্জাতিক সম্মান এসেছে। বাংলা, তথা গোটা দেশের বার বার মুখ উজ্জ্বল করেছেন দীপা।

দোলা বন্দোপাধ্যায়

এই বাঙালি মহিলা তীরন্দাজ আন্তর্জাতিক স্তরে বার বার ভারতকে গর্বিত করেছেন।

দিব্যেন্দু বড়ুয়া

এই দাবাড়ু বাংলার গর্ব। বিশ্বনাথন আনন্দের পর তিনিই দ্বিতীয় ভারতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen