কোন শর্তে তৈরি হচ্ছে NDA সরকার? মোদী কীভাবে ম্যানেজ করলেন N²-কে?
মোদী শরিকদের পাত্তা দেন না কিন্তু দেশের রায় এবার তাঁকে শরিকদের মন জুগিয়ে সরকার চালাতে বাধ্য করেছে।

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি, ফলে এনডিএ-কে অটুট রাখতে তৎপর বিজেপি। চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপি পেয়েছে ১৬টি আসন। অন্যদিকে নীতিশের দল পেয়েছে ১২ টি আসন। দুই দল মিলিয়ে ২৮টি আসন। এই দুই আঞ্চলিক দলের ভরসায় কেন্দ্রে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। নীতিশ ও চন্দ্রবাবুকে কীভাবে রাজি করালেন মোদী?
মোদী শরিকদের পাত্তা দেন না কিন্তু দেশের রায় এবার তাঁকে শরিকদের মন জুগিয়ে সরকার চালাতে বাধ্য করেছে। নীতিশ ও চন্দ্রবাবু দু’জনেই কিন্তু পালটিবাজ। অতীতে তাঁদের একাধিবার শিবির বদলের ইতিহাস রয়েছে। নীতিশ ইন্ডিয়া গড়ে ভোটের কয়েক মাস আগেই এনডিএ-তে ফিরে গিয়েছিলেন। ফলে এদের কতটা ভরসা করা যায়, তা নিয়ে ধন্দে বিজেপি। অন্যদিকে চন্দ্রবাবু গোধরা কান্ডের পর মোদীর পদত্যাগ চেয়েছিলেন, তখনও তিনি এনডিএ-র সদস্য। উনিশেও নাইডুর প্রতি দমনপীড়ন নীতি নিয়েছিল বিজেপি, এমন অভিযোগ উঠে। মনে করা হচ্ছে, দুই নেতা একাধিক কিছু চেয়েছেন।
শোনা যাচ্ছে, নীতিশ ও চন্দ্রবাবু প্রায় দশটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক চাইছেন। প্রায় হাফ ডজন প্রতিমন্ত্রী চেয়েছেন তাঁরা। খবর মিলছে, চন্দ্রবাবু চেয়েছেন স্পিকার পদ, যা ছাড়তে নারাজ বিজেপি। দিল্লির আকাশে-বাতাসে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, চন্দ্রবাবু নাকি জানিয়েছেন অমিত শাহকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী করা যাবে না। শোনা যাচ্ছে, রেল, সড়ক, গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক চেয়েছেন নীতিশ। ক্রমেই চাপ বাড়াচ্ছেন দুই নেতা। অন্যদিকে, নীতিশ, চন্দ্রবাবু দু’জনেই নিজেদের রাজ্যের জন্য আলাদা আর্থিক প্যাকেজ পেয়েছেন। চন্দ্রবাবু অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য আলাদা মর্যাদার দাবি করেছেন বলেও খবর। সব দাবি-দাওয়া কি মেটাবে বিজেপি? সরকার গড়ার বাধ্যবাধকতা থেকে সবই মেনে নেবে মোদীর দল?