লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেই তৃণমূলের বাজিমাত, মনে করছে রাজ্যের সাধারণ মানুষ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলায় তৃণমূলের চমকপ্রদ ফল লোকসভা ভোটে। বার্তা একটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই দাঁড়িয়েছে বাংলা। এক্সিট পোলের একের পর এক ভবিষ্যৎবাণীকে ভুল প্রমাণ করে বাংলায় ফের সবুজ ঝড়।
রাজ্য জুড়ে এখন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অভাবনীয় এই ফলাফল নিয়ে আলোচনা চলছে। বারাসতের ডাকবাংলো লাগোয়া চায়ের দোকান রঞ্জিত দাসের। বুধবার সকালে দোকানে খদ্দেরদের ভিড়। সকলের হাতেই খবরের কাগজ। চলছে লোকসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে জোর আলোচনা। রাজু, বিকাশ নামের দুই ক্রেতা বলেন, ‘বিজেপির এই আগ্রাসন সত্ত্বেও বাংলায় এরকমভাবে সবুজ ঝড়, ভাবা যায়!’ পাশে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছিলেন অমরেশ দাস নাম আর এক ক্রেতা। তিনি গলা উঁচিয়ে বললেন, ‘দাদা আপনার বাড়ির মহিলারা কাদের ভোট দিয়েছে জানেন? বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে দেখুন, ওঁরা বলবেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছেন মমতা, তাই ভোট তৃণমূলকেই দিয়েছি।’ তারপর দোকানের প্রায় সকলেই একমত যে, এবারের ভোটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই কেল্লাফতে করেছে। টাকার অঙ্ক বেড়ে যাওয়াটা মমতার মাস্টার স্ট্রোক।
বারাসত শুধু নয়। অভিজাত সল্টলেকের একটি ব্লকে যুবক ও প্রৌঢ়দের আড্ডা চলছে ভোটের ফলাফল নিয়ে। উচ্চবিত্তদের সেই আড্ডাতেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যে মাস্টার স্ট্রোক, সে সংক্রান্ত আলোচনা। বনগাঁর কয়েকজন মহিলা মাঠে চাষের কাজ করছিলেন বুধবার সকালে। কাকে ভোট দিলেন প্রশ্নের উত্তরে তাঁরা জানালেন, যিনি মাসে মাসে লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার দিচ্ছেন, তাঁকে ছাড়া কাকে দেব ভোট? সোনারপুরে রাজমিস্ত্রির কাজ করে ফিরছিলেন স্বামী ও জোগাড়ের কাজ করা স্ত্রী। দু’জনেই একযোগে বললেন, ছেলে ও মেয়ের পড়াশোনার খরচটা উঠে যায় লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারের টাকায়। তৃণমূল ছাড়া কাউকে ভোট দেওয়ার কথা ভাবতেই পারি না।