রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ডায়মন্ড হারবারে ভোট কমল বিজেপি’র, দলের অন্দরে শুরু হয়েছে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি

June 7, 2024 | < 1 min read

ডায়মন্ড হারবারে ভোট কমল বিজেপি’র, দলের অন্দরে শুরু হয়েছে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ডায়মন্ড হারবার আসন থেকে ৭ লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে এই সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে ২০১৯ সালে পাওয়া ভোট এবার ধরে রাখতে পারল না বিজেপি।

২০১৯-এ ডায়মন্ডহারবারে ৭৩,৬৭৩, ফলতায় ৭০,৯১২, সাতগাছিয়ায় ৮৬,৭৬১, বিষ্ণুপুরে ৭৩,৫২৯, মহেশতলায় ৬৯,২৫২, বজবজে ৬৩,১১৮ ও মেটিয়াবুরুজে ৩২,৮০২ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। এবার যথাক্রমে ডায়মন্ডহারবারে ৪৩,১৭৬, ফলতায় ১৫,২৬৩, সাতগাছিয়ায় ৭৫,৪৪৯, বিষ্ণুপুরে ৬৯,৫৫৭, মহেশতলায় ৬০,৫২৫, বজবজে ৪১,৯৪২ ও মেটিয়াবুরুজে ৩০,১৫৬টি ভোট পেয়েছে তারা। ২০১৯- এ বরিহাগত হলেও বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জন রায় পেয়েছিলেন ৪ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৩৩টি ভোট। আর এবার ভূমিপুত্র অভিজিৎ দাসকে প্রার্থী করলেও বিজেপি পেয়েছে ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩০০টি ভোট। কার্যত ১ লক্ষ ৩২ হাজারের বেশি ভোট কমে গিয়েছে।

এই বিষয়টি নিয়ে ভোট পরবর্তী সময়ে পদ্মশিবিরের অন্দরে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি চলছে। বিভিন্ন পক্ষ যা বলছে, তার সারমর্ম হল, উপর থেকে প্রার্থী অভিজিৎ দাসকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া সঠিক হয়নি। এজন্য বজবজ, মহেশতলা, ফলতা, ডায়মন্ডহারবার, বিষ্ণুপুরে ২০১৯ সালের লোকসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে যাঁরা প্রাণপাত করে দলের হয়ে খেটে ভোট বাড়িয়েছিলেন, সেইসব কার্যকর্তা থেকে কর্মীরা এবার ময়দানে নামেননি। সাংগঠনিকভাবে প্রতি পদে পদে সভাপতি শিবির ও প্রার্থী গোষ্ঠীর ভিতর সমন্বয় ছিল না। ১৯৬৮টি বুথের ভিতর ১২৯৪টি বুথের সভাপতির তালিকা দেওয়া হলেও, অধিকাংশকে দেখতে পাওয়া যায়নি। বুথ ভিত্তিক টাকা বরাদ্দ হলেও তা সব জায়গায় পৌঁছয়নি। ফলে ভোটের দিন সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ বুথে এজেন্ট বসেছে। বাকিগুলি ফাঁকাই ছিল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #Result, #Diamond Harbour, #Loksabha elections 2014

আরো দেখুন