বিজেপির প্রলোভনকে উপেক্ষা করে ভোটযন্ত্রে মোক্ষম জবাব দিল সিঙ্গুরবাসী
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্যজুড়ে সবুজ ঝড়ের অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কথা জানিয়েছেন। এবার হুগলি লোকসভার অন্তর্গত জমি আন্দোলনের পীঠস্থান সিঙ্গুরের ডাকাত কালীমন্দিরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পুজো দিলেন মহিলারা। পুজো দেওয়ার পাশাপাশি সবুজ মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
বিপুল ভোটে বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছে সিঙ্গুর। বলা যায়, টাটার গাড়িশিল্প ফেরানোর গেরুয়া প্রতিশ্রুতিকেই কৃষক আন্দোলনের ধাত্রীভূমি কার্যত নাকচ করে দিয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সিঙ্গুর বিজেপিকে লিড দিয়েছিল, যা চমকে দিয়েছিল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদেরও। এবারের লোকসভা নির্বাচনে মিলল বিপরীত ফল, সিঙ্গুর লিড দিল তৃণমূল কংগ্রেসকে! অঙ্কের হিসেবে, গতবারের ঘাটতি মিটিয়ে লিড পাওয়ার অর্থ দ্বিগুণ লিড পাওয়া। আবার, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের তুলনায় ০.৬৭ শতাংশ ভোট ঘাসফুল বেশি পেয়েছে, যাতে চওড়া হয়েছে তৃণমূলের ছাতি। রাজনৈতিক মহলের দাবি, কৃষিবলয় সিঙ্গুর, কৃষির উন্নয়নের পক্ষেই রায় দিয়েছে। সেই জনমতকে ধরে রাখতে এবার কৃষির পক্ষে সক্রিয় পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যের শাসকদলকে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় সিঙ্গুর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের রত্না দে নাগকে ১০,৪২৯ ভোটে হারিয়েছিলেন। সেই লকেটই এবার সিঙ্গুর থেকে তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ১৮,৮২৬ ভোটে হারলেন! আরও তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার এই যে, ২০২১ সালে সিঙ্গুর বিধানসভা আসন তৃণমূল জিতে নেয়। ঘাসফুল প্রার্থী বেচারাম মান্না ৪৮.১৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। ২০২৪-এ সংখ্যাটি হয়েছে ৪৮.৮২।