বিটেকে ১০০ শতাংশই রাজ্য জয়েন্টের পরীক্ষার্থীদের সুযোগ দেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এতদিন ভিন রাজ্যের পড়ুয়ারা সহজেই বিটিকে ভর্তি হয়ে যেতে পারতেন। তবে, তাঁদের মান অনেক সময়েই ভালো হতো না। একথা মাথায় রেখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৯০ শতাংশ আসনই রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষিত করে দেয়। এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও সেইপথে হাঁটল।
বিটেকে পড়ুয়া ভর্তিতে ১০০ শতাংশই রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের সুযোগ দেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, শুধু রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের পড়ুয়াদের ১০০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়াই নয়, ৮০ শতাংশ আসন বরাদ্দ থাকবে রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য। অর্থাৎ এরাজ্যের ডোমিসাইল শংসাপত্র থাকলেই ওই ৮০ শতাংশ আসনে ভর্তি হতে পারবেন পড়ুয়ারা। বাকি ২০ শতাংশ আসনে রাজ্যের পড়ুয়াদের পাশাপাশি ভিন রাজ্যের পড়ুয়ারাও ভর্তি হতে পারবেন। তবে, তাঁদের এরাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার র্যাাঙ্ক থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত, বিটেকে মোট ৪০০-এর বেশি আসন রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেগুলির পুরোটাই ভর্তি করা হবে রাজ্য জয়েন্ট উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের দিয়ে। আগে ৬০ শতাংশ আসনে ভর্তি হতে পারতেন জয়েন্টের পড়ুয়ারা। পরবর্তী দ্বিতীয় বর্ষে বিএসসি’র পড়ুয়ারা জেলেট পরীক্ষা দিয়ে ল্যাটারাল এন্ট্রির মাধ্যমে ভর্তি হতেন। এবার শুধুমাত্র ড্রপ আউট এবং ফাঁকা থেকে যাওয়া আসনগুলিই ল্যাটারাল এন্ট্রির মাধ্যমে ভর্তি করা হবে। ফলে, আসন ফাঁকা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমবে। তবে, পরবর্তীতে ১০ শতাংশ আসন ল্যাটারাল এন্ট্রির জন্য বের করা যাবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, এমটেক কোর্সেও কিছু বদল আসছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতদিন এখানে পেশাদার ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য চারটি এমটেক কোর্স চালু ছিল। তবে, সেগুলি ছিল তিন বছরের। ইঞ্জিনিয়ারিং তথা প্রযুক্তিশিক্ষার কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা এআইসিটিই জানিয়েছে, এমটেকে শুধুমাত্র রেগুলার কোর্সই রাখতে হবে। তিন বছরের কোর্স বা ইভিনিং কোর্সগুলি বন্ধ করে দিতে হবে। তাই, এখন এই চারটি কোর্সের মেয়াদও কমে হচ্ছে দু’বছরের।
তবে, আপাতত তা বাকি ১৫টি এমটেক কোর্সের মতো সকলের জন্য উন্মুক্ত নয়। তাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে পেশাদারদেরই। মোট ৬২টি আসন রয়েছে চারটি কোর্সে। পর্যাপ্ত পেশাদার না মিললে সেগুলিতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদেরও ভর্তি নেওয়া হবে।