হেরেছে নিশীথ, এবার পণ ভেঙে মৎসমুখ করলেন রবীন্দ্রনাথ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে না হারানো পর্যন্ত আমিষ খাবেন না বলে পণ করেছিলেন প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। গত ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। কোচবিহার আসনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। তারপরই প্রায় দুই মাস পর মাছ খেলেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
দীর্ঘ ভোটপর্বে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নিরামিষ ভোজন করেছেন। ৪ জুন ফলপ্রকাশ হয়। পরাজিত হন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। রবিবার ছিল জেলা তৃণমূলের বর্ধিত সভা। রবীন্দ্রভবনেই সেই সভায় কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবিবাবু মাছ খেয়ে তাঁর ‘প্রতিজ্ঞা’ ভঙ্গ করলেন। মঞ্চেই তাঁর মুখে মাছ তুলে দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ।
তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ১৩ এপ্রিল জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়াকে নিয়ে মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিই। সেদিনই ঠাকুর মদনমোহনের সামনে জগদীশবাবুকে জেতানোর পর আমিষ আহার করব বলে প্রতিজ্ঞা করি। দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে না পারলে সারাজীবন মাছ-মাংস খাব না বলে জানিয়েছিলাম। এদিন সকাল পর্যন্ত প্রতিজ্ঞা ধরে রেখেছিলাম। দলের বর্ধিত সভায় সমস্ত স্তরের নেতারা আসেন। উদয়নবাবু মাছ খাইয়ে দিয়েছেন। এখন থেকে আগের মতো মাছ খাব। এদিন সকলের জন্যই কাতলা মাছ, মুরগির মাংস, পোলাওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছিল। তিনি তো সেদিনই আমিষ খেতে পারতেন। আসলে ওঁর বয়স হয়েছে। এখন ওঁর আমিষ না খাওয়াই ভালো। তাই আমিষ খাওয়া থেকে দূরে থাকছেন। কোচবিহারের রাজনীতিতে নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। রবিবাবু যখন জেলা সভাপতি ছিলেন, সেসময় নিশীথ তৃণমূল যুব কংগ্রেসে ছিলেন। পবর্তীতে নিশীথ বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিশীথ জয়ী হয়েছিলেন। পরবর্তীতে রবি ঘোষকে দল জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয়। এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপি আবার নিশীথ প্রামাণিককে প্রার্থী করে। তৃণমূল রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়াকে প্রার্থী করে।