স্নাতক স্তরে না-পড়া বিষয়েও স্নাতকোত্তর, UGC-র সমালোচনায় শিক্ষকমহল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চার বছরের স্নাতক (অনার্স বা অনার্স রিসার্চ) কোর্স চালুর সময়েই ইউজিসি বলেছিল, ৭৫ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর থাকলে কোনও পড়ুয়া গবেষণাভিত্তিক স্নাতকোত্তর পড়তে পারবেন। সেক্ষেত্রে এক বছরের কোর্স হবে তাঁর। যাঁরা তিন বছরের স্নাতক কোর্স করেছেন, তাঁরা পড়বেন দু’বছরের স্নাতকোত্তর। সেক্ষেত্রে পরবর্তী একটি বছর গবেষণার জন্য নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া, পাঁচ বছরের ইন্টিগ্রেটেড স্নাতক/স্নাতকোত্তর কোর্স থাকছে। এর পাশাপাশি, দু’বছরের মাস্টার ডিগ্রিতে একটি ‘এগজিট পয়েন্ট’ও থাকছে।
এক বছর সফলভাবে কোর্স করার পরে কেউ যদি স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা ছেড়ে দিতে চান, তাহলে তিনি সেটা পারবেন। তাঁকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমার শংসাপত্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে সেক্ষেত্রে। ইউজিসি এখানেই থেমে নেই। রেগুলার কোর্সে একসঙ্গে দু’টি মাস্টার ডিগ্রি করার অনুমতিও দিয়েছে তারা। এর পাশাপাশি, একটি ফিজিক্যাল মোড বা চিরাচরিত ক্লাসরুম টিচিং পদ্ধতি অন্যটি ওডিএল বা মুক্ত-দূরশিক্ষা পদ্ধতিতে স্নাতকোত্তর করার অনুমতি তো রয়েছেই।
শিক্ষকদের বক্তব্য, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বর্তমান পরিকাঠামো এবং লোকবলকে অগ্রাহ্য করেই নয়া নীতি চাপিয়ে দিচ্ছে ইউজিসি। একই সঙ্গে এক বছর এবং দু’বছরের স্নাতকোত্তর কোর্স চালাতে গেলে কলেজ (যেগুলিতে স্নাতকোত্তর কোর্স চলে) এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি হিমশিম খাবে। আবার, যেকোনোভাবে প্রবেশিকায় উত্তীর্ণ হয়ে কেউ অন্যকোনও বিষয়ে (অনার্স বা মেজর বাদে) স্নাতকোত্তরে ভর্তি হয়ে গেলে তাঁকে গড়েপিটে নিতেও সমস্যা হবে। কারণ, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বুনিয়াদি শিক্ষাটাই তাঁর নেই। স্নাতক কোর্স সেই ভিত্তি তৈরির কাজটি করে। সারা ভারত সেভ এডুকেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তরুণকান্তি নস্কর বলেন, এই পদ্ধতিতে পড়ুয়াদের মধ্যে জ্ঞানের গভীরতা সৃষ্টি হবে না। এছাড়া, নয়া শিক্ষানীতি কার্যকরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও আর্থিক অনুদানের ঘোষণা নেই। বাস্তবে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ছেলেখেলা চলছে।